ফেরদৌস এবারের নাটকের নাম দিয়েছেন ‘দ্য লাস্ট ট্রেন’। আর এতে মূল যাত্রী হয়েছেন দু’জন।
গল্পটি শুরু হয় অসফল, হতাশাগ্রস্থ এক তরুণ নির্ঝরের স্বপ্নদৃশ্য দিয়ে। স্বপ্নে তার সাথে দেখা হয় বনলতা নামের এক অপরূপ স্বপ্নকন্যার। স্বপ্নের ঘটনাচক্রে, তারা দু’জনেই সিদ্ধান্ত নেয় একসাথে আত্মহত্যা করার। আত্মহত্যার নতুন নতুন অভিসন্ধি চালিয়ে যায় হতভাগ্য এই তরুণ-তরুণী। কিন্তু বারবার ব্যর্থতায় তারা মৃত্যুর আগে জীবনকে উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ধীরে ধীরে তারা একে অপরের প্রতি আকর্ষিত হয়। একসময় নির্ঝর ভালোবেসে ফেলে বনলতাকে। জীবনকে নতুন করে দেখতে শুরু করে নির্ঝর। কিন্তু বনলতা এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয় ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করার। তারা দু’জন রেললাইনে অপেক্ষা করে তাদের জীবনের লাস্ট ট্রেনের। কিন্তু নির্ঝর ভয় পেতে থাকে এবং বনলতা তাকে রেখে একাই এগিয়ে যায় মৃত্যুর দিকে। এভাবেই স্বপ্নভঙ্গ হয় নির্ঝরের।
সে সন্ধ্যায় তার বাড়িতে বনলতার আগমন ঘটে রহস্যময়ী রূপে। নির্ঝরের প্রতিবেশিকে তাদের বিয়ের দাওয়াত দিতে আসে বনলতা এবং তার হবু স্বামী টম এবং দৈবক্রমে নির্ঝর জানতে পারে বনলতার হবু স্বামী টম তার স্কুল জীবনের পুরনো প্রতিদ্বন্দী। টম ও বনলতা নির্ঝরকে আমন্ত্রণ জানায় চট্রগ্রামে তাদের আসন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে। নির্ঝরের জেদ চেপে যায় বনলতাকে পাওয়ার জন্য, তাই সে চট্রগ্রাম যাওয়ার এবং বনলতা ও টমের বিয়ে ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেয়। বনলতাকে পাওয়ার জন্যে সেদিন রাতের লাস্ট ট্রেনের টিকেট বুকড করে নির্ঝর। এভাবেই এগিয়ে যায় কাহিনি।
ফেরদৌস জানান, নাটকের জন্য গল্প লেখা উপভোগ করেন তিনি। কিন্তু সচরাচর সেগুলোতে অভিনয় করেন না।
‘দ্য লাস্ট ট্রেন’ তৈরি করেছেন আবীর খান। ঈদের ৭ম দিন রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচার হবে এটি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এসও