ভিনদেশি যন্ত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন প্রবীন ও নবীন কণ্ঠশিল্পীরা। তাদেরই প্রশংসায় ভাসছেন ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এর উদ্যোক্তা, গান বাংলা চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস।
‘উইন্ড অব চেঞ্জ: সিজন ১’-এ ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী নতুন সংগীতায়োজনে গেয়েছেন তার বিখ্যাত ‘জীবনানন্দ’ গানটি। এই আয়োজন নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সংগীতের কোনো ভাষা নেই। এ অনুষ্ঠান (উইন্ড অব চেঞ্জ) বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের কৃষ্টিকে সমগ্র বিশ্বের সামনে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, এটা আমার মনে প্রাণে বিশ্বাস। তাপসের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। শুধু একটা কথাই আমি বলতে চাই, সেটা হচ্ছে, এটা শুধু তাপস বলেই সম্ভব হয়েছে। …’
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরীর কণ্ঠে ‘কতোবার ভেবেছিনু’ থাকছে এই আয়োজনে। বন্যা বলেছেন, ‘তাপসের কম্পোজিশনটা আমার খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে। …এতোগুলো মিউজিশিয়ানের সাথে লাইভ গাওয়া সেটাও একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিলো। আই রিয়েলি এনজয় ইট। ’
সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী গেয়েছেন ‘পাখিরে তুই’ গানটি। তিনি বলেছেন, ‘…একই জিনিস কিন্তু উপস্থাপনার কারণে ভিন্নতা পায়। গান বাংলা এবং তার সাথে জিরো রেকর্ডসের যাত্রা শুভ হোক। …’
ফকির আলমগীর পরিবেশন করেছেন ‘ও সখিনা’ গানটি। পুরো আয়োজন নিয়ে তার মন্তব্য, ‘…এমন একটি গান রেকর্ড করলাম, যেটি নতুন করে প্রাণ পেয়েছে কৌশিক হোসেন তাপসের স্পর্শে। ’
বাপ্পা মজুমদারে গাওয়া ‘বৃষ্টি পড়ে’ গানটি উপভোগ করা যাবে এই পর্বে। এ প্রসঙ্গে শিল্পী বলেছেন, “…আমি মনে করি বাংলাদেশের সংগীত জগতে ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ বিশাল বিশাল একটা উত্তোরণ। …আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই তাপসকে, এই পুরো আয়োজনটি করার জন্য। আমার মনে হয়, গানকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়, তার একটা জলজ্যান্ত উদাহরণ হচ্ছে তাপস। ’
নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, ফকির আলমগীর, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সুবীর নন্দী, বাপ্পা মজুমদারসহ মোট ২৪জন শিল্পী সিজন ১-এ গেয়েছেন তাদের জনপ্রিয় গানগুলো। শিল্পীদের সঙ্গে বাজিয়েছেন কয়েকজন ভিনদেশি যন্ত্রশিল্পী। তারা হলেন— যুক্তরাষ্ট্রের চেলো বাদক আট ইউম মেনিকিয়ান, লাটভিয়ার পিয়ানোশিল্পী এনা ভাইভ, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রামার টনি পার্কার, রাশিয়ার অপেরাশিল্পী এনা এমিলিয়া নোভা, একই দেশের ভায়োলিন বাদক এনা রাকিতা ও বেজ গিটারিস্ট আন্তন ডেভিডিয়ান্স, সেতার বাদক ভারতের পূর্বায়ন চ্যাটার্জি ও গিটারিস্ট সঞ্জয় দাস।
বরাবরের মতো উইন্ড অব চেঞ্জের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন গান বাংলার চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নী।
* নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর ‘জীবনানন্দ’:
* রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ‘কতোবার ভেবেছিনু’:
* সুবীর নন্দীর ‘পাখি রে তুই’:
* বাপ্পা মজুমদারের ‘বৃষ্টি পড়ে’:
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এসও