ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

কেমন হতে পারে নতুন নীতিমালা, জানালেন ফারুকী

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৭
কেমন হতে পারে নতুন নীতিমালা, জানালেন ফারুকী মোস্তফা সরয়ার ফারুকী/ছবি: সংগৃহীত

যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের জন্য নতুন নীতিমালা হবে। তথ্য মন্ত্রনালয়ের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষ। ‘বিতর্কিত’ বা ‘অনুপযোগী’ নিয়মগুলো বাদ যাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

নতুন নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত দেশে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘চলচ্চিত্র পরিবার’-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্রের সুষ্ঠু বিকাশ ও উন্নয়নের স্বার্থে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অচিরেই কার্যকর হতে যাচ্ছে।

 

এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন নীতিমালার জন্য তিনি কিছু প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন। বিষয়গুলো ফারুকী তুলে ধরেছেন নিজের ফেসবুক পোস্টে।
 
যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘ডুব’-এর এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘তথ্য মন্ত্রনালয়কে ধন্যবাদ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নীতিমালা মূল্যায়ন ও সংশোধন সুপারিশে নতুন কমিটি তৈরি করার জন্য। এবং আরো ধন্যবাদ জানাই এই কাজের জন্য যোগ্য ব্যক্তিটিকে কমিটির প্রধান করায়। হারুন ভাইয়ের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা আমাদেরকে একটা সময়োপযোগী নীতিমালা দেবে, এই বিষয়ে আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে। ’
 
 
ফারুকীর মতে, ‘বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে সত্যিকার যৌথ প্রযোজনা দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে যদি দুই দেশের অংশগ্রহণে ভারসাম্য থাকে। এখন সেই ভারসাম্য মানে কিন্তু এক ছবিতে দুই দেশের দুই পরিচালক থাকা না। দয়া করে এই অদ্ভুত বাধ্যতামূলক ব্যাপার পরিহার করেন। এর কারনেই এই দেশের প্রযোজকের নাম পরিচালক হিসাবে দেখা যায়। বরং নীতিমালায় এমন ফিল্টার তৈরি করেন যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় যে, বছরে দশটা যৌথ প্রযোজনার ছবি হলে ন্যূনতম পাঁচটার গল্প, পরিচালক এবং লোকেশন যেন এই দেশের হয়। শিল্পীদের ক্ষেত্রেও ভারসাম্য আনেন। এতে যেটা হবে, ঢাকা বা কোলকাতা কোথাও অসন্তোষ তৈরি হবে না। কেউ ভাববে না, আমাদেরকে কেবল ভোক্তা বানানো হচ্ছে। তখনই কেবল এটা কাজে আসবে। না হলে এটা দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ হবে না এবং এমনকি এটার জন্য অনাকাংখিত রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে। ’
 
সাফটা চুক্তি নয়, যৌথ প্রযোজনাকে উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়ে ফারুকী লিখেছেন, ‘আর এই সাফটা চুক্তির আওতায় ছবি বিনিময় জিনিসটা পুরোপুরি নিরুৎসাহিত করা উচিত। এটা অনিয়ম এবং ফাঁকিবাজির সুযোগ তৈরি করে এবং আখেরে যা দুই দেশের সম্পর্কে বাজে চাপ ফেলবে। এটাকে নিরুৎসাহিত করে যৌথ প্রযোজনাকে উৎসাহিত করেন। ’
 
যৌথ প্রযোজনার ছবি তৈরির প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে পরামর্শ দিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি লিখেছেন, ‘আরেকটা কথা, এখন যৌথ প্রযোজনার ছবিকে দুইবার নিরীক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একটা কমিটি স্ক্রিপ্ট পড়ে অনুমোদন দেয়। তারপর ছবি তৈরি হলে সেই কমিটি ছবি দেখে অনুমোদন দেয়। তারপর সেটা আবার সেন্সর বোর্ড দেখে। এক মুরগী বারবার জবাই করার এই ক্লান্তিকর পদ্ধতি বাদ দিয়ে সহজ এবং যথাযথ পরীক্ষণের পদ্ধতি বের করুন, দয়া করে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
এসও

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।