শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই গুণী শিল্পীর একক সংগীত সন্ধ্যার। নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এই আয়োজন করা হয় বলে জানান জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
‘সব শ্রোতা মূলতো রবীন্দ্রনাথের গানে প্রেম, পূজা আর ভালোবাসা খোঁজে। কিন্তু এর বাইরেও রবীন্দ্র সংগীতের অনেক বড় একটা জায়গা আছে; তা হলো রবীন্দ্রনাথের বিচিত্র গান। ’ প্রথম গান শুরু করার আগে বলছিলেন শিল্পী তানজিনা তমা। আর তাইতো সেখান থেকেই তিনি গেয়ে উঠলেন- ‘তারায় তারায় দীপ্ত শিখায় অগ্নি জ্বলে’।
এছাড়া রবীন্দ্রনাথের নাটকে সবসময়ই দেখা মেলে চমৎকার সব গানের। নাটকগুলোতে আবার গানের ব্যবহারও বেশ দারুন। এমনকি রীন্দ্রথান নিজের অভিনয় করেছেন তার নাটক মঞ্চায়নে। তাইতো তার ‘রাজা-রানী’ নাটক থেকে এই শিল্পী গেয়ে উঠেন ‘আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি, তুমি অবসর মতো আসিও’।
শিল্পী তানজিনা তমা নিজেও একবার অভিনয় করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য ‘মায়ার খেলা’তে। সেই নাটক থেকেই এই শিল্পী গেয়ে ওঠেন ‘চঞ্চল হয়ে ঘুরে বেড়ায়, সদা মনে হয় যদি দেখা পায়’। আরো গেয়ে যান ‘মধুরো মধুরো ধ্বনি বাজে, হৃদয় কমলো বনো মাঝে’।
দর্শক-শ্রোতাদের সারিতেও কমতি নেই ভালোলাগার। তাইতো প্রতিটি গানের শেষেই মুগ্ধতার ধ্বনি ছাড়িয়ে যায় তবলা, গিটার আর কিবোর্ডের শব্দকেও।
দর্শক-শ্রোতা সারিতে কথা হয় শিল্পীর মেয়ে আনোয়ারা করিমের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আম্মুর গান সবসময়ই ভালো লাগে, তবে তার প্রতিটি গানের অনুষ্ঠানে আমি যেন তাকে নতুন ভাবে উপলব্ধি করি। তিনি যেন প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নতুন করে ফুটে ওঠেন। ’
আর সাধারণ শ্রোতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গানের এই মানুষটা যতটা দরদ দিয়ে গেয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ নিজেও বুঝি এতটা দরদেই লিখেছন তার গান। তাইতো এই শিল্পীর প্রতিটি গান যেন মুগ্ধতার প্রতীক’ বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এইচএমএস/এসএইচ