পৃথিবীতে যেখানে কণ্ঠস্বর মুহূর্তেই সাগর পেরোয়, আর যোগাযোগ মাত্র এক ক্লিক দূরে, সেখানে লং ডিসট্যান্স লাভ এখনো হৃদয়ের পরীক্ষা নেয়। নীরবতা থেকে যায়, অনেক কথা রয়ে যায় না বলা, আর দূরত্ব যেন হয়ে উঠে সীমাহীন।
যেখানে গান স্পর্শ করে সেই নিঃশব্দ শূন্যতা, অপেক্ষার প্রতিধ্বনি আর দূরে থেকেও কাছে থাকার যন্ত্রণা। শুভেন্দু দাস শুভর সুর আর অংকনের লেখায় সৃষ্টি গান সেইসব জায়গায় ভেসে বেড়াবে, যেখানে প্রযুক্তি পৌঁছাতে পারে না, অনেকটা না পাঠানো চিঠির মতো, যা হাওয়ায় ভেসে যায়।
এটা মনে করিয়ে দেয় সেই রিয়েলম্যাজিক এর কথা, যা ঘনিষ্ঠতা আর অনুপস্থিতির মাঝেও বেঁচে থাকে, এক ধরণের ভালোবাসা, যা বেঁচে থাকে ফিসফিসে, স্মৃতিতে, আর তারায়, যেগুলো এতোটাই দূরে যে চাইলেও ছোঁয়া যায় না, আবার এতোটাই কাছে যে ভুলতে চাইলেও ভোলা যায় না।
এমনই অনুভূতি নিয়ে কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের পঞ্চম গান হিসেবে মুক্তি পেল ‘লং ডিসট্যান্স লাভ’। গানটি পরিবেশন করেছেন উদীয়মান তারকা অংকন কুমার এবং শেখ মুমতাহিনা মেহজাবিন আফরিন, যিনি ‘মডার্নওটাকু’ নামেও পরিচিত।
গানটিতে সুর দিয়েছেন শুভেন্দু দাস শুভ। অংকন ও কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি গায়িকা-গীতিকার প্রগতা নাওহা মিলে লিখেছেন গানের কথা।
গানটির ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক আদনান আল রাজীব এবং প্রযোজনা করেছে রানআউট প্রোডাকশনস। ভিডিওটি শুটিং করা হয়েছে এক পরিত্যক্ত গ্যালারিতে, যেখানে সমসাময়িক নৃত্যশিল্পীরা দূরত্বের যন্ত্রণা আর ভালোবাসার দৃঢ়তাকে নৃত্যে প্রকাশ করেছেন।
এর আগে ২৩ আগস্ট তৃতীয় মৌসুমের চতুর্থ গান হিসেবে প্রকাশ হয় ‘বাজি’ শিরোনামের গান। এতে ফুটে উঠেছে আদিবাসী সঙ্গীত ঐতিহ্য ও শহুরে লোক সঙ্গীতের মনোমুগ্ধকর মিশ্রণ। গানটির কম্পোজিশন, পরিচালনার পাশাপাশি গেয়েছেনও এই সময়ের অন্যতম প্রতিভাবান শিল্পী ইমন চৌধুরী এবং তার সঙ্গে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে রয়েছেন হাশিম মাহমুদ।
এনএটি