হাজারো দর্শকের প্রাণ ছুঁয়ে যাওয়া এই উৎসবে এ বছর বাংলাদেশসহ ৮টি দেশের প্রায় ১৪০ জন লোকসংগীত শিল্পী অংশগ্রহণ করেন।
উৎসবের তৃতীয় ও শেষ দিনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং বাংলা লোকগীতির বিখ্যাত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ এর বড় নাতনি ও কন্ঠশিল্পী, অধ্যাপিকা, লেখিকা নাশিদ কামাল।
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর তার বক্তব্যে বলেন, ‘তিন দিন ধরে উপভোগ করা এই উৎসব আমাদের জন্য যথেষ্ট আনন্দের, তেমনি আজ এই উৎসবের শেষ দিন এটা যথেষ্ট কষ্টের। ’
তৃতীয় ও শেষ দিনে দর্শকরা উপভোগ করেন বাংলাদেশ থেকে শাহ আলম সরকার, আলেয়া বেগম, শাহনাজ বেলী’র অসাধারণ পরিবেশনা। এছাড়াও দেশের বাইরের শিল্পীদের মধ্যে ভারত থেকে আসা বাসুদেব দাস বাউল, মালি’র বিশ্বখ্যাত গ্র্যামি বিজয়ী ‘তিনারিওয়েন’ ব্যান্ড ও ইরানের ‘রাস্তাক’ গান শুনিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানের আনু্ষ্ঠানিকতা শেষে দর্শকদের আনন্দ দিতে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত মিস জুলিয়া নিব্লেট এবং কানাডার রাষ্ট্রদূত বিনো পিয়েরে লারামি যৌথভাবে ৪টি গান পরিবেশন করেন। তবে অনুষ্ঠান আয়োজনের কিছু বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন দর্শকরা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাওহীদ বাংলানিউজকে বলেন, গতবারের থেকে এবারের আয়োজনে কিছুটা অগোছালো ভাব রয়েছে। সিঙ্গার সিলেকশনেও কিছুটা ত্রুটি রয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এজন্য গত বছরের তুলনায় এবার দর্শকও কম। তাছাড়া অনুষ্ঠানের মাঝে অ্যাম্বাসেডরদের আধাঘণ্টার গান দেয়াটা ভালো হয়নি, সারপ্রাইজের জন্য তাদের দুই একটা গান থাকতে পারতো। তবে শেষে এসে ‘রাস্তাক’, বাসুদেব বাউল এবং ‘তিনারিওয়েন’ এর পরিবেশনা ভালো লেগেছে।
এদিকে অনুষ্ঠানস্থলে সাধারণ দর্শক এবং সাংবাদিকদের গাড়ি পার্কিং এর কোনো ব্যবস্থা না থাকায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
পেশায় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন নামের এক দর্শক বাংলানিউজকে বলেন, ‘এত বড়ো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কিন্তু কোনো পার্কিং এর ব্যবস্থা নেই। আমরা গাড়ি না নিয়ে আসলে মধ্যরাতে অনুষ্ঠান শেষ হলে বাসায় ফিরবো কিভাবে। এটলিস্ট বাইক রাখার ব্যবস্থা করার দরকার ছিলো’।
একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদক বলেন, সাংবাদিকদের ক্যামেরা, ল্যাপটপ অনেক কিছু সাথে আনতে হয়। অন্তত আমাদের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করতে পারতো।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এসআইজে/আরআই