রয়েছে তিনটি ব্যালকনি। সব মিলিয়ে ফ্লাটটি পরিপাটিভাবে সাজানো গোছানো।
কিং খানখ্যাত নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে অনেক আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। তবে বিয়ের বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন রাখেন তারা। এরইমধ্যে তাদের সংসারে সন্তান আব্রাম খান জয়ের আগমন ঘটে। সেই সন্তানকে নিয়ে হঠাৎ একদিন অপু বিশ্বাস একটি টেলিভিশনের লাইভ শোতে উপস্থিত হয়ে সবাইকে চমকে দেন।
এরপর থেকেই চলচ্চিত্র জগতের দীর্ঘদিনের সফল জুটি শাকিব-অপুর সংসার জীবনে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সময়ের ব্যবধানে তা চরম আকার ধারণ করে। শাকিব-অপুর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নাকি বিচ্ছেদের পথে। সাদাকালো অপুর রঙিন সংসারে তাই এখন চলছে ভাঙনের সুর।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টা। শাকিব-অপুর বিচ্ছেদের খোঁজখবরে বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ার ছয়তলা বিশিষ্ট শেফালী ভবনের সামনে হাজির বাংলানিউজ টিম। ৩নং ওয়ার্ডের ডা. এস কে লেনের হোল্ডি নং ১৬৪৭ (এ) প্রধান ফটকের ডান পাশে শেফালী ভবন নামের নাম ফলক বসানো রয়েছে।
তখনও ভবনের প্রধান ফটকের ভেতরে ও বাইরে তালা ঝুলছিলো। ছিলো না কোনো দারোয়ান। এরইমধ্যে বাসার দু’জন ভাড়াটিয়া বের হন। কিন্তু বাসার ভেতর ঢুকতে তারা সাহায্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এই ফাঁকে ভেতর থেকে আরেকজন ব্যক্তি বেরিয়ে আসেন। তিনিও নিজেকে বাসার ভাড়াটিয়া পরিচয় দেন।
নিজের নাম স্বপন জানিয়ে ওই ভাড়াটিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বাসায় নায়িকা অপু বিশ্বাসের ভাই উত্তম বিশ্বাস, তার স্ত্রী ও মামা স্বপন বিশ্বাস থাকেন। তবে ভাই ও মামা বাইরে রয়েছেন। পরে আসার পরামর্শ দিয়ে ফের ভেতরে হারিয়ে যান তিনি।
প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেই স্বপনই আবার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন তিনি নিজেকে নায়িকা অপু বিশ্বাসের মামা স্বপন বিশ্বাস হিসেবে পরিচয় দেন। শুরু হয় আলাপচারিতা। একপর্যায়ে ছয়তলায় অবস্থিত সেই ফ্লাটে নিয়ে যান।
সিঁড়ি বেয়ে বাসায় উঠতে ফ্লাটে প্রবেশের আগেই চোখে পড়ে দেওয়ালে সাটানো নায়িকা অপু বিশ্বাসের সাদাকালো ছবি।
ভেতরে গিয়ে কথা হয় অপু বিশ্বাসের মা শেফালী বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাবা আমি প্রায় মাসখানেক ধরে অসুস্থ। কোথাও তেমন একটা বের হই না। মেয়ে অপু বিশ্বাস তার স্বামী শাকিব খান ও ছেলে আব্রাম খান জয়কে নিয়ে বেশ ভালই আছে’।
বিচ্ছেদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘খবরটা সঠিক না। পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে দু’জনের মাঝে বিচ্ছেদ হচ্ছে হবে এমন খবর আপনাদের মত আমিও শুনছি। অন্য আট/দশ জন যা শুনছে আমিও একই কথা শুনছি। তবে আমি মেয়ে ও জামাইয়ের কাছ থেকে এখনও এমন কথা শুনতে পাইনি’।
মামা স্বপন বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, প্রত্যেক দিন মোবাইল ফোনে অপু বিশ্বাস পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইমোর মাধ্যমে ছেলে আব্রাম খান জয়কে পরিবারের সবাই দেখেন। অপুর মুখ থেকে শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদ হচ্ছে বা হবে এমন কথা এখনও শোনা যায়নি। তাই এ ধরনের খবরের কোন সত্যতা নেই যোগ করেন মামা স্বপন বিশ্বাস।
তিনি আরো জানান, প্রায় তিন বছর আগে অপুর বাবা মারা গেছেন। ওই সময় অপু বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর প্রায় দুই বছর আগে আরেকবার আসেন। কিন্তু বিয়ের খবর প্রকাশের পর অপু অদ্যাবধি বাড়িতে আসেন নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৬
এমবিএইচ/জেডএম