দেখা হলো- সেলফি হবে না! তা কী হয়! তাই সবাই সেলফি তুলে পোস্ট করছেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকে শুরু করে টুইটারে। তবে এবার সেই সেলফি তুলেই বিপাকে পড়েছেন এই দুই প্রতিযোগী।
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবি পোস্ট করেছেন মিস ইসরায়েল অ্যাডার গ্যান্ডেলস্ম্যান। ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন মিস ইরাক দারুণ মেয়ে। তিনি অনেক ছবিই দিয়েছেন, তবে মানুষের মন কেড়েছে দুইজনের সেলফিটি।
প্রতিবেদনে বিবিসি বলছে, মিস ইডান বড় হয়েছেন ইরাকে। বর্তমানে সঙ্গীত নিয়ে এখন পড়াশোনা করছেন আমেরিকায়। তার ফেসবুক পাতায় তিনি লিখেছেন ৪৫ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম ইরাকি; যিনি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
‘এ জন্য আমি খুবই গর্বিত,’ বলেন মিস ইডান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাই কেউ কেউ এ নিয়ে কঠোর মন্তব্য করছেন। অনেকেই বলেছেন, ‘এই সেলফি রুচিসম্মত নয়। ’
আরব বিশ্বে ইসরায়েলের বৈরী আচরণের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীরা এই সেলফি নিয়ে ক্ষুব্ধ মন্তব্য করছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অধ্যাপক আসাদ আবুখালিল টুইট বার্তায় লিখেন, ‘ইরাক সুন্দরী মনের খুশিতে দখলদার ও নিমর্মতা সুন্দরীর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন!’
তবে ইরাকি আন্দোলনকর্মী আলা টুইট করেছেন, ‘একজন ইসরায়েলির সঙ্গে একজন আরব মুসলমানের ছবি তোলার মানে মানবতা ও শান্তির ইস্যুতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রনীতির প্রতি সহমত পোষণ করা নয়। ’
তবে এসব সমালোচনার জবাবে মিস ইডান ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, মিস ইসরায়েল তার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য তাকে ডেকেছিলেন এবং বলেছিলেন তাদের দুই দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি আসুক এটাই তিনি প্রত্যাশা করেন।
‘তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন আমরা একসঙ্গে ছবি তুলতে চাই কি না! আমি বলেছিলাম শান্তির বার্তা তুলে ধরতে আমি আগ্রহী। ওই ছবির উদ্দেশ্য ছিলো বিশ্ব শান্তির জন্য আশার একটা বর্হিপ্রকাশ। ’
‘ওই ফটো ইসরায়েলের নীতির প্রতি সমর্থন নয়,’ বলেন ইডান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এমএ/