নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় বলা হয়েছে, সালমাকে ওয়েইনস্টাইন একবার বলেছিলেন, ‘তোমাকে আমি খুন করবো! ভেবো না আমি এটি পারবো না। ’
সালমার আগে হলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী হার্ভি ওয়েইনস্টাইনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসকে সালমা আরও জানান, হার্ভির সঙ্গে কাজ করা ছিলো তার অনেক বড় আশা। ২০০২ সালে ‘ফ্রিদা’ ছবিতে মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কালোর চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সেই সুযোগ পান তিনি।
কিন্তু সালমার অভিযোগ, সেই সময় যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন হার্ভি। কখনও একসঙ্গে গোসল করা, তার গোসল দেখা, তাকে ও তার বন্ধুকে ম্যাসাজ করে দেওয়া, ওরাল সেক্স করা ও অন্য অভিনেত্রীর সঙ্গে নগ্ন হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন সালমা। কিন্তু তিনি সবই প্রত্যাখ্যান করেন।
অন্য অভিনেত্রীর সঙ্গে নগ্ন যৌন দৃশ্যে অভিনয় না করলে ‘ফ্রিদা’ ছবির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও নাকি দিয়েছিলেন হার্ভি। এ কারণে তখন অপ্রয়োজনীয় একটি দৃশ্যে কাজ করতে হয়েছে তাকে। এর শুটিংয়ের সময়কার মানসিক অশান্তির বর্ণনা দিতে গিয়ে সালমা বলেন, ‘আমাকে ঘুমের ওষুধ রাখতে হতো সঙ্গে। এভাবে কান্নাকে থামাতে পারতাম। কিন্তু অনেক বমি হতো। তবুও কিছু করার ছিলো না, কারণ এর মাধ্যমেই ওই অপ্রয়োজনীয় দৃশ্যে কাজ করতে পেরেছি। ’
হার্ভির মুখপাত্র হলি বেয়ার্ড অবশ্য এসব অভিযোগকে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ওয়েইনস্টাইন কখনও অযথা অন্য অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য সালমা হায়েককে জোর করেননি। তিনি সেই সময় শুটিংয়ে ছিলেন না। সালমার এসব অভিযোগ মোটেও সত্যি নয়। ঘটনাস্থলে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যাবে এটি। ’
অস্কারে ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল জুলি টেইমোর পরিচালিত ‘ফ্রিদা’। সালমা হায়েকও সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
বিএসকে