সোমবারের (১৫ জানুয়ারি) ওই বৈঠকে অপু বিশ্বাসই উপস্থিত হলেও যাননি শাকিব খান। এমনকি শাকিবের কোনো প্রতিনিধিও সেখানে উপস্থিত হননি।
বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএনসিসি অঞ্চল ৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন বলেন, অপু বিশ্বাস একাই এসেছিলেন। তিনি আমাদের একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন। সেখানে অপু বিশ্বাস জানান, তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করা হয়েছে। তার একটি সন্তান রয়েছে এবং তিনি সংসার করতে চান। তিনি তালাক চান না।
‘যেহেতু শাকিব খান উপস্থিত হননি তাই নিয়মানুযায়ী আমরা নতুন একটি তারিখে তাদের উপস্থিত হবার জন্য চিঠি ইস্যু করেছি, আর সেটা হচ্ছে আগামী ১২ ফেরব্রুয়ারি। ওইদিন দুইজনকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ’
গত বছর ২২ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে অপু বিশ্বাসকে তালাকনামা পাঠান শাকিব খান। যার একটি অনুলিপি ডিএনসিসি অঞ্চল-৩ এ পাঠানো হয়। যদিও ওই অনুলিপির সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেননি শাকিব।
এর প্রেক্ষিতে নিয়ম অনুযায়ী, ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ ইস্যু মীমাংসা করার জন্য আরও দু’বার বৈঠক ডাকবে। এতেও যদি তারা নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে পুনরায় সংসার করতে চান তা পারবেন। নয়তো বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে যাবে।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের গোপনে বিয়ের করেন। আব্রাম খান জয় তাদের একমাত্র ছেলে। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ২৪ এ উপস্থিত হয়ে তা প্রকাশ করেন অপু। এ সময় তার সঙ্গে ছিল ছয় মাস বয়সী আব্রামও।
সেদিনই প্রথম শাকিবের স্ত্রীর দাবি নিয়ে সামনে আসেন অপু। আর এ নিয়ে তখন থেকেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
জেআইএম/এমএ