বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সমাপনি অনুষ্ঠান। এদিন উৎসবে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আরো উপস্থিত ছিলেন- উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামান প্রমুখ।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘চলচ্চিত্রের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে কাছে টানতে পারে, ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। ধর্মের নামে, রাজনীতির নামে আজ সারাবিশ্বে চলছে হত্যাযজ্ঞ, হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি আর রাহাজানি। আমরা নিজেদের দাবি করছি আমরা সভ্য। আসলে কি আমরা সভ্য? চলচ্চিত্র এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। চলচ্চিত্র পারে বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। ’
এবারের উৎসবে শিশু চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে ‘বাদল রহমান পুরস্কার’ পেয়েছে ইরানের ‘হোয়াইট ব্রিজ’, দর্শক বিবেচনায় সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ভারতের ‘টোপি’। নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে রাশিয়ার ‘সোফিস্কা’, স্বল্পদৈর্ঘ্যে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে নরওয়ে ও যুক্তরাজ্যের যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘থ্যাঙ্কু ইউ ফর দ্য রেইন’।
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হয়েছে আফগানিস্তানের ‘পারলিকা’, কাহিনিচিত্রে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ফ্রান্সের ‘লেস বিগোরনিয়াক্স’, শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র চেক প্রজাতন্ত্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ প্রযোজনার ‘আনা’। শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম বিভাগে কাহিনিচিত্রে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের ‘পুনঃপৌনিক’, শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র হয়েছে ইরাকের ‘দ্যা ভায়োলেট’, প্রামাণ্যচিত্রে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে নেপালের ‘এ সঙ ফর বারপাক’ ও শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র হযেছে যুক্তরাজ্যের ‘কন্টিনেন্টল ড্রিফট’।
পুরস্কার দেওয়া শেষে উৎসবের আহ্বায়ক অধ্যাপিকা কিশোয়ার কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনি আলোচনা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যসচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেন্ট ভিভেনসিও তেজামো বেন্দিলো। এবারের এ উৎসবে ৯ দিনে (৯-২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশসহ ৬৪ দেশের ২১৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এইচএমএস/এসআরএস