ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

কাউকে সরাবেন না: প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
কাউকে সরাবেন না: প্রিয়াঙ্কা চোপড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া/ ছবি: বাংলানিউজ

ভ্রমণসূচিতে মঙ্গলবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার কথা থাকলেও সোমবার হোটেলে পৌঁছেই বিকেলে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

সোমবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালি ব্রিজের পাশে অস্থায়ী শিবিরে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ডায়রিয়া হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি ঘুরে দেখেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পও।

এ সময় ‘বাজিরাও মাস্তানি’খ্যাত এই তারকার পরনে ছিলো কালো জিনসের প্যান্ট, টি-শার্ট এবং মাথায় স্কার্ফ। তার সঙ্গে ছিলেন ইউনিসেফ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ইউনিসেফ পরিচালিত হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গেলে ভেতরে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতালের রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানকার চিকিৎসকদের কাছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া/ ছবি: বাংলানিউজহাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় সামনে পড়া রোহিঙ্গা কিশোর রিফাত হোসেনকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বাংলায় জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমাদের এখানে আমাকে ঘোরাবে?’ মাথা নেড়ে রিফাত সম্মতি জানালে তার হাত ধরেই রোহিঙ্গা শিবিরে হাঁটা শুরু করেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসছেন, এ খবর আগে থেকেই রটে যায়। তাই অতিথিদের গাড়ি এসে থামতেই ভিড় করেন রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা মানুষ এবং স্থানীয় অধিবাসীরা। যে তারকাকে সবাই দেখেছেন হিন্দি চলচ্চিত্রে, তাকে কাছ থেকে এক নজর দেখার জন্য সবার চেষ্টার কমতি ছিলো না। মুহূর্তেই ভিড় বেড়ে যায়।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন প্রিয়াঙ্কাপ্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকেই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ ধাক্কা দিয়ে ও লাঠিপেটা করে সবাইকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে বাধা দেন প্রিয়াঙ্কা। পুলিশকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘দয়া করে কাউকে সরাবেন না। ধাক্কা দেবেন না। ’

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ক্যাম্পের ভেতরে আরেকটি শিশুর সঙ্গে কথা বলেন। বাংলায় ছেলেটিকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার নাম কী?’ ছেলেটি বলে, মো. রফিক। ‘তুমি স্কুলে যাও?’ ছেলেটি মাথা নেড়ে বলল, যাই। এ সময় আব্দুল আজিজ নামে আরেক শিশুর সঙ্গেও কথা বলেন পিসি। এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের ফটোসেশনে অংশ নেওয়ার পর ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত বাহারছড়া ত্যাগ করেন।

বিকেল সোয়া ৪টায় প্রিয়াঙ্কা গাড়িতে ওঠেন। যাওয়ার আগে হাত নাড়িয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাংলায় বলেন, ‘আবার আসবো। ’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া/ ছবি: বাংলানিউজপ্রিয়াঙ্কা চোপড়া সোমবার সকাল আটটায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। এখানে ঘণ্টা তিনেক অবস্থান করার পর তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে প্রিয়াঙ্কাকে উখিয়ায় রয়েল টিউলিপ হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। কক্সবাজারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া চার দিন থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
বিএসকে
** রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন প্রিয়াঙ্কা
** কক্সবাজারে প্রিয়াঙ্কা, বিকেলে যাবেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
** রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে বাংলাদেশে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।