ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সন্তানদের আশায় থেকে না ফেরার দেশে গীতা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
সন্তানদের আশায় থেকে না ফেরার দেশে গীতা গীতা কাপুর

মা এমন একজন, যিনি সারাজীবন সন্তানকে বুকের মধ্যে আগলে রাখেন। কিন্তু এমনই এক হতভাগা মাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন তার ছেলে। আর সেই ছেলে-মেয়ের আশায় থেকে থেকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন অভিনেত্রী গীতা কাপুর।

শনিবার (২৬ মে) মুম্বাইয়ের সুবারবানের একটি বৃদ্ধাশ্রমে মারা যান ‘পাকিজা’খ্যাত এই তারকা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৭ বছর।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্মাতা অশোক পণ্ডিত টুইটারে জানান, ‘মারা গেছেন গীতা জি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি তাকে বাঁচানোর। কিন্তু আমাদের হার মানতেই হলো। গত এক বছর ধরে তিনি তার ছেলে-মেয়ের অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। ’

রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল গীতা কাপুরকে মুম্বাইয়ের এসআরভি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তার ছেলে রাজা। সেসময় হাসপাতালের বিল পরিশোধের জন্য এটিএম থেকে টাকা তুলতে যাচ্ছেন এমন কথা বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়। কিন্তু আর ফিরে আসেন না।

গীতা কাপুরপরে বিষয়টি পুলিশকে জানান হয়। এ ঘটনা প্রকাশের পর মারাঠি একটি চ্যানেল গীতার সাক্ষাৎকার নেন। আর সেখানেই তিনি বলেছিলেন, জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে ছবিতে কাজ করতেন। প্রায় ১০০ ছবিতে কাজ করেছেন। এছাড়া ‘পাকিজা’র মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন বলেও জানান তিনি।

অভিযোগ করে গীতা আরও বলেছিলেন, ‘সে (রাজা) আমাকে অনেক মারধর করতো। চারদিনে শুধু এক বেলা খাবার দিতো। এমনকি মাঝে মধ্যে ঘরের মধ্যে আটকে রাখতো। এছাড়া আমি বৃদ্ধাশ্রমে যেতে চাইতাম না বলে সে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরিকল্পনা করেন। তাই আমাকে খাবার দিতো না যাতে আমি অসুস্থ হয়ে যাই। ’

এরপর থেকে বর্ষীয়ান এ অভিনেত্রীর সকল দায়িত্ব নিয়েছিলেন নির্মাতা অশোক পণ্ডিত। হাসপাতালের সকল বিল পরিশোধ করে তাকে সুবারবানের একটি বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চলছিলো গীতার দেখভাল।

** গীতা কাপুরের সেই সাক্ষাৎকার

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।