রোববার (৮ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার তুলে দেন সরকারপ্রধান। ২৫টি বিভাগে ৩১ জন বিজয়ী পুরস্কার পান।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, তথ্য সচিব আবদুল মালেকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এবার যুগ্ম-ভাবে আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেছেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ও চিত্রনায়িকা ফরিদা আক্তার ববিতা। দু’জনেই উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এবার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’র জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদুর রেজা সাগর, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঘ্রাণ’র জন্য এস. এম. কামরুল আহসান, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘জন্মসাথী’র জন্য একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী, একই চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে পুরস্কার পেয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী, যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে ‘অস্তিত্ব’ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পেয়ছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা ও ‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রের জন্য কুসুম শিকদার।
যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রের ‘পুড়ে যায় মন’ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন আলীরাজ ও ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ চলচ্চিত্রের জন্য ফজলুর রহমান বাবু, ‘কৃষ্ণপক্ষ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে পুরস্কার পেয়েছেন তানিয়া আহমেদ, ‘অজ্ঞাতনামা’ চলচ্চিত্রের অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্রে পুরস্কার পেয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, ‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হয়েছেন আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি।
‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হয়েছেন ইমন সাহা, ‘অমৃত মেঘের বারি’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়ক ওয়াকিল আহমেদ (চলচ্চিত্র ‘দর্পণ বিসর্জন’), ‘যদি মন কাঁদে’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন (চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’), ‘বিধিরে ও বিধি’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার (চলচ্চিত্র ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’), একই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার পেয়েছেন ইমন সাহা।
‘অজ্ঞাতনামা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হয়েছেন তৌকির আহমেদ, ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম, ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন, ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পাদক হয়েছেন ইকবাল আহসানুল কবির, ‘শঙ্খচিল’র জন্য শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক উত্তম গুহ, ‘আয়নাবাজি’র জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামান, একই চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রিপন নাথ, যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা বিভাগে ‘নিয়তি’ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পেলেন সাত্তার ও ‘আয়নাবাজি’র জন্য ফারজানা সান এবং ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যানের পুরস্কার পেয়ছেন মানিক।
বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র ভালো হচ্ছে। আরও ভালো মানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন চলচ্চিত্র নির্মাণে আরও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয় সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পের দিক থেকেও আমরা যেন বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারি।
সম্মাননা গ্রহণের পর সংক্ষিপ্ত অনভূতি প্রকাশ করেন ফারুক ও ববিতা। ফারুক চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নির্মাতাদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার আহ্বান জানান সরকারের প্রতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এমইউএম/জেআইএম/এইচএ/