করাচি পুলিশের সিনিয়র এসপি ওমর শাহিদ জানান, করাচির জিমখানার পাশে অবস্থিত কাউসার-ই-জয়নাব ভবনের তৃতীয় তলা থেকে সাবেক মডেল অ্যানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানিয়েছে, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তার মরদেহ উদ্ধার করে জিন্নাহ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পু্লিশের ধারণা, অ্যানি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। ওই কক্ষটিতে বেশ কিছু জিনিসপত্র এলোমেলো পেড়েছে এবং কিছু বইপত্র আগুনে পোড়া।
পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, অ্যানি নিজেই এসব বই আগুনে পুড়িয়েছেন। আর সেই আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে।
তবে চিকিৎসকরা অ্যানির শরীরে কোথাও পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন ও ক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
এদিকে অ্যানির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তার ফ্ল্যাট থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেখানে ছুটে গিয়ে ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ দেখা যায়। এরপর পুলিশের খবর দেন তারা।
পরে ওই বাসায় গিয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে অ্যানির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়।
ডন জানায়, অ্যানি একসময়ে মডেলিং ও ডকুমেন্টারি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এখন ব্যস্ত ছিলেন লেখালেখি আর মুক্ত সাংবাদিকতা নিয়ে।
ডন, হেরাল্ড স্ল্যাট, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, দ্য এশিয়া সোসাইটি, দ্য ক্যারাভ্যান ছাড়াও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখতেন তিনি।
সম্প্রতি একটি বই লেখার কাজও শেষ করেছিলেন অ্যানি, যদিও তা এখনও অব্দি প্রকাশ হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
জেআইএম/এমএ