রোববার (২২ জুলাই) রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে কলকাতার থিয়েটার ও চলচ্চিত্র পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাসবী নন্দী ষাটের দশকে রঙ্গমঞ্চ থেকে সিনেমায় এসেছিলেন। সেসময় মঞ্চে দাপিয়ে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালে ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক ঘটে।
উত্তম কুমারের নায়িকা হিসেবেও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। ১৯৭৩ সালের মহানায়কের বিপরীতে ‘বনপলাশীর পদাবলী’ সিনেমায় অভিনয় করে বাসবী নন্দী বেশ প্রশংসিত হন।
অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি গানও করতেন। নেপথ্য সঙ্গীত ও বেসিক গানের রেকর্ডও করেছিলেন তিনি।
১৯৩৯ সালে বাসবী নন্দীর জন্ম। কলকাতার ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী তিনি। আইএ পাস করেছেন আশুতোষ কলেজ থেকে৷
কলকাতার এমন কোনও থিয়েটার নেই যেখানে তার পায়ের ছাপ পড়েনি। স্টার থিয়েটারে ‘কারাগার’ (১৯৬২), রঙমহলে ‘সেইম-সাইড’ (১৯৬৮/৬৯), বিজন থিয়েটারে ‘শ্রীমতি ভয়ঙ্করী’(১৯৮০)-র স্মৃতি এখনও দর্শকের মনে জায়গা করে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
জেআইএম/আরবি/