বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংগঠনের নেতারা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ করেন।
বিশিষ্ট অভিনেতা ও সংগঠনটির সভাপতি ড. ইনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আজম বাশারসহ নবীন-প্রবীণ শিল্পীরা সভায় বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, শিল্পীদের দুঃখ-দুর্দশার কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী তাদের সম্মানী দেড়গুণ বাড়িয়ে দিলেও বিভিন্ন কৌশলে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। আগে পুরো অনুষ্ঠানের সময়ের ওপর সম্মানী দেওয়া হলেও এখন পর্দায় দেখানোর সময়টুকুর ওপর সম্মানী দেওয়া হয়। বেতার ও বিটিভিতে গীতিকারদের সম্মানী দেওয়া হলেও সুরকারদের সম্মানী দেওয়া হয় না, আবার গীতিকারদের যে সম্মানী দেওয়া হয় তাও অপ্রতুল।
‘বেতারে এক সময় ‘ক’ শ্রেণীর শিল্পীর ওপরে ‘বিশেষ’ ও ‘উচ্চ’ শ্রেণী নামে দুটো শ্রেণী ছিল। এখন সবাইকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। এতে শিল্পীদের অপমান করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে, সেই হারে শিল্পীদের সম্মানী বাড়ানো হয়নি। বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রেও অপ্রতুল ভাতা দেওয়া হয় শিল্পীদের।
শিল্পীরা বিটিভির বিভিন্ন অনিয়ম নিয়েও অভিযোগ করেন। বিটিভির কর্মকর্তারা তালিকার বাইরে থেকে খেয়ালখুশি মতো শিল্পী দিয়ে অনুষ্ঠান করিয়ে নেন। নাটকের পাণ্ডুলিপি নির্বাচনেও অনৈতিক পন্থা লক্ষ্য করা যায়। আবার নাটক পুনঃপ্রচারে রয়্যালিটি দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেন তারা। শিল্পীদের স্বল্প সুদে গৃণঋণ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে বলেন, শিল্পীদের সম্মানী কত হলে তা যৌক্তিক হবে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আপনারা একটা প্রস্তাব দিন। পুরো বিষয়টা আমরা ঢেলে সাজাতে চাই। আর্থিক বিষয়গুলোতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের কিছুটা বিরোধ রয়েছে। আমরা সরাসরি অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে বিষয়গুলোর সমাধান করবো।
সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু আল হোসেন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
এজেড/এএ