বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেতা তারিক আনাম খান, কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পূর্ণিমা ও অভিনেতা ফেরদৌসসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের উপন্যাসটিতে বাংলাদেশর চেতনার কথা উঠে এসেছে। উপন্যাসটি নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের হাতে দেওয়া হয়েছে। উনি চমৎকার চিত্রনাট্যের মাধ্যমে সিনেমাটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি আশা করছি দর্শকরা সিনেমাটিকে ভালোভাবে গ্রহণ করবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই উপমহাদেশের রাজনীতিবিদরা সাধারণত উপন্যাস লেখেন না। সেই দুঃসাহসটাই আমি দেখিয়েছি। জীবন ঘনিষ্ঠ একটা উপন্যাস আমি লিখতে চেয়েছিলাম। এখানে উপকূলের মানুষদের জীবনচিত্র ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি। জেল থেকে বের হয়ে কক্সবাজারে টানা সাত দিন অবস্থান করে আমি বইটা শেষ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বইটি চলবে কিনা তা ভেবে শুরুতে লজ্জা পেতাম। কিন্তু বই মেলায় প্রকাশের পর বইটি বেস্ট সেলার হয়েছে। এটা নিয়ে আবার সিনেমা হবে আমি কল্পনায়ও ভাবিনি। আমি মনে করি এটা আমার জন্য একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।
তারানা হালিম বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতি আপনাদের ভালোবাসার কারণেই আজ মহরতে এতজন মন্ত্রী এসেছেন। আমি সিনেমাটির সাফল্য কামনা করছি।
পূর্ণিমা বলেন, একজন মন্ত্রীর উপন্যাসে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি, এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। বন্ধু ফেরদৌস যখন এ সিনেমায় আমাকে কাজ করতে বললেন তখন সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে পারিনি। কারণ অনেক দিন ধরে আমি সিনেমা থেকে দূরে আছি।
পরিচালক নেয়ামূল বলেন, সবার উপস্থিতিতে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জনপ্রিয় একটি উপন্যাস নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। আশা করছি সিনেমাটি মুক্তির পরও জনপ্রিয়তা পাবে।
অক্টোবর থেকে ‘গাঙচিল’র শুটিং শুরু হচ্ছে। এতে পূর্ণিমা-ফেরদৌস ছাড়াও অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা। প্রযোজনায় নুজাত ফিল্মস ও ইচ্ছেমতো।
বাংলাদেশে সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
জেআইএম/এনএইচটি