ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

বাসুদেব ঘোষ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
বাসুদেব ঘোষ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত ‘বাসুদেব ঘোষ স্মরণ অনুষ্ঠান’- এ বলছেন বাসুদের’র স্ত্রী নবনিতা চক্রবর্তী

সদ্য প্রয়াত হয়েছেন সংগীত পরিচালক বাসুদেব ঘোষ। গত ২৯ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গুণী এই শিল্পী। অকাল প্রয়াত বাসুদেব ঘোষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনস্বরূপ অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বাসুদেব ঘোষ স্মরণ অনুষ্ঠান’। 

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী বাংলামটরের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে এ স্মরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেভার ভিশন।

স্মরণ সভায় সংগীতশিল্পী, গীতিকবি, সুরকার এবং বাসুদেব ঘোষের স্ত্রী নবনিতা চক্রবর্তী, একমাত্র সন্তান কর্ণসহ অনেকে বাসুদেবকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। স্মৃতিচারণের এক পর্যায়ে অনেকে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। লেজার ভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে সংগীত জগতের ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণে বাসুদেব ঘোষগত শতাব্দীর শেষ দশকে এ দেশের শুদ্ধ সঙ্গীত চর্চায় নতুন ধারার সূচনা করেন বাসুদেব ঘোষ। সেই থেকে তার হাত ধরে বহু শিল্পীর আবির্ভাব ঘটে সংগীতাঙ্গনে। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার,
সংগীত পরিচালক ও গায়ক ছিলেন।  

মাত্র ৫১ বছর বয়সেই প্রতিভাবান এই সংগীত পরিচালক ও সুরকার তার সমস্ত কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে গেলেন। ১৯৯৫ সাল থেকেই তার এই সাধনা শুরু করেন। বিশেষ করে শাশ্বত ধারার বাংলা গান ও দেশাত্মবোধক গান নিয়েই তার কাজ ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এই স্বপ্নবাজ সুরকার অনেক বড় একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি অনেকটা নিভৃতে নিজ উদ্যোগে কাজ করছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দেশাত্মবোধক গানের অ্যালবাম নিয়ে। এক হাজারটি দেশের গান নিয়ে সাজানো এই অ্যালবামের নাম রেখেছিলেন ‘সূর্যালোকে শাণিত প্রাণের গান’। এর মধ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন অনেক শিল্পী। গান রেকর্ড করেছেন কয়েকশত। এটাকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা ছিল তার। সেই সঙ্গে দেশাত্মবোধক গানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমকে জাগ্রত করার তীব্র প্রেরণা পাওয়া যায় তার কাজের মধ্যে।  

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০টি গান নিয়ে কাজ করছিলেন বাসুদেব ঘোষ। জানা যায়, গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন সুমনা বর্ধন, সজল দাশ, পিন্টু ইসলাম, গোল্ডেন মণ্ডল, আশিষ সরকার, রুবেল রহমানসহ আরও কয়েকজন।

এছাড়া চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার গান নিয়েও বিশেষ প্রকল্প শুরু করেছিলেন বাসুদেব ঘোষ। কিন্তু কোনো কাজই সমাপ্ত করে যেতে পারলেন না তিনি।  

বাসুদেব ঘোষের সুর-সংগীতে বেশ কিছু শ্রোতামহলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘তোমার ওই মনটাকে একটা ধুলোমাখা পথ করে দাও’, ‘তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় আমায় সঙ্গে নিও’, ‘আমি খুঁজে বেড়াই আমার মা’, ‘এই করে কেটে গেল ১২টি বছর’, ‘দেহ মাদল’ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।