তিনি বলেন, ‘কালো চেহারার চরিত্রে প্রথম কাজ করেছি। গল্পের প্রয়োজনে প্রচুর তরমুজ খেতে হয়েছে আমাকে।
জুলি চরিত্রে আছেন সানজিদা প্রীতি। তিনি বলেন, ‘আমি ঈদে ৩/৪ টার বেশি কাজ করি না। করোনার কারণে এখন তো গৃহবন্দি। কিন্তু হিমু আকরামের এই গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। কাজটা না করে পারলাম না। তাছাড়া হিমুর সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। এটা অসাধারণ একটা নাটক হবে। ’
নাটকের আরেকটি মজার চরিত্র হচ্ছে হেলেনা বেগম। এটিতে অভিনয় করছেন শামিমা নাজনীন। তার ভাষ্যে, ‘হিমু আকরামের সঙ্গে অনেক কাজ করেছি আমি। তার গল্প এবং নির্মাণ ব্যতিক্রম। ’
‘গফুর কাকার তরমুজ’ নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন হিমু আকরাম। তিনি বলেন, কালো ছেলে গফুর আর সুন্দরী জুলির প্রেমের গল্প এটা। সহজ সরল গফুরের ভাড়াটিয়া জীবন, লুকিয়ে প্রেম এবং ফর্সা হয়ে প্রেমিকার মায়ের কাছে যাবার গল্পই ‘গফুর কাকার তরমুজ’!
নাটকে দেখা যাবে, গফুরের গায়ের রং বুড়িগঙ্গার পানির মতো। জুলির ফর্সা। বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে নারিন্দা লেন ধরে জুলি আসে। কালো ছেলে গফুরের মনের মধ্যে তখন ১০০ টা গিরিবাজ পল্টি খায়। জুলি খায় তরমুজ। কালো ছেলে গফুরের রেলিঙে পা ঝুলিয়ে!
গফুর জানতে চায় জুলি এতো তরমুজ খায় ক্যান? জুলি বলে, তরমুজ খেলে গায়ের রং সাদা হয়। কালো ছেলে গফুর এবার তরমুজ খাওয়া শুরু করে। সিদ্ধান্ত নেয় তরমুজ খেয়ে খেয়ে গায়ের রং সাদা বানাবে। তারপর জুলির মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিবে!
তরমুজ কিনতে কিনতে শেষ পর্যন্ত কালো ছেলে গফুর তরমুজের দোকানই দিয়ে বসে। প্রেমিকা জুলিকে খুশি করার জন্য। চতুর প্রেমিকা জুলি তবুও খুশি হয় না। তাইতো নিজের মায়ের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করে বসে হঠাৎই। তারপর জামাইকে নিয়ে কিনতে যায় প্রিয় তরমুজ। গফুরের দোকান থেকেই। কালো প্রেমিক গফুর অবাক চোখে প্রেমিকা জুলির চলে যাওয়া দেখে। আর দেখে দোকানে ঝুলে থাকা বড়সড় তরমুজ!
নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে আরও আছেন, ড. এজাজ, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, সামিয়া নাহি, শফিক খান দিলু, রাজু আহসান।
নির্মাতা হিমু আকরাম জানান, ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে ‘গফুর কাকার তরমুজ’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
ওএফবি