বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে রাজশাহী সিটি চার্চে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বাদশা আরো বলেন, ‘ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখেন, সেখানে বহু শিল্পী মারা গেছেন।
তিনি বলেন, ‘এন্ড্রু কিশোর চেয়েছিলেন- তার সমাধি যেন রাজশাহীতে হয়। এটা আমাদের জন্য বিশাল মর্যাদার। আমরা যেন তাকে বুকে ধারণ করে রাখবো। এটা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। ’
এ সময় স্মৃতিচারণ করে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘এক বছর আগে এন্ড্রু কিশোর বলেছিলেন- “বাদশা ভাই, আমাদের খ্রিস্টান কবরস্থানটা সংস্কার করে দেন। তখন আমি বলি- কবরস্থান নিয়ে এতো চিন্তা কেন? উনি বললেন- না ভাই, এটা সংস্কার করে দেন। " আজকে আমাদের জরুরিভাবে কবরস্থান সংস্কার করতে হয়েছে। এটা অনেক দুঃখের এবং কষ্টের। ’
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এন্ড্রু কিশোরের স্মৃতি ধরে রাখতে আমাদের অনেক কিছু করা প্রয়োজন। প্রথমত- আমি প্রধানমন্ত্রীকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করেছি- তাকে যেন এমন একটা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যার জন্য সবসময় মানুষ তাকে স্মরণে রাখেন। ’
‘তার নামে একটা সংগীত বিদ্যালয় করার পরিকল্পনা আছে। এ জন্য আমি সিটি মেয়রের সঙ্গে বসবো। এই সঙ্গীত বিদ্যালয় থেকে যারা শিল্পী হবেন, যুগেযুগে যেন তারা বলে- আমরা এন্ড্রু কিশোর সংগীত বিদ্যালয় থেকে উঠে এসেছি’- যোগ করেন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
এন্ডু কিশোরকে নিয়ে কাজ করার মূল দায়িত্ব সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের উল্লেখ করে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরা এন্ড্রু কিশোরকে সবার মাঝে বাঁচিয়ে রাখার কাজ করবেন। আমি তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করবো। সবসময় নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো। ’
এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, নগর সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য নাজমুল করিম অপু, মহানগরীর সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
এসএস/জেআইএম