ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

কপিরাইট সুরক্ষার নামে নজিরবিহীন হয়রানি বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২০
কপিরাইট সুরক্ষার নামে নজিরবিহীন হয়রানি বন্ধের দাবি কপিরাইট সুরক্ষার নামে নজিরবিহীন হয়রানি বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: কপিরাইট সুরক্ষার নামে মহল বিশেষের নজিরবিহীন হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড'স অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) সভাপতি হামিন আহমেদ। তিনি বলেন, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে থার্ড পার্টির হয়রানি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর কারওয়ানবাজারের লা ভিঞ্চি হোটেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি (বিএফপিডিএ), মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি) ও বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড'স অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।  

হামিন আহমেদ বলেন, মিউজিক বা চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে আদৌ সংশ্লিষ্ট নন, ওলোরা আফরিন নামে নিজেকে আইনজীবী পরিচয়দানকারী একজন ব্যক্তি কিভাবে লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ ফিল্ম (এলসিএসসিএফ) নামে একটি সংগঠনের অনুমোদন পেলেন, তা বিস্ময়কর। শুধু তাই নয়, ওই সোসাইটির ব্যানার কাজ লাগিয়ে কপিরাইট সুরক্ষার নামে তিনি নিজের স্বার্থ হাসিলে একের পর এক অপকর্মের মাধ্যমে এ শিল্পখাতে গভীর অস্থিরতা তৈরি করে চলছেন।

তিনি বলেন, অথচ কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের নীতিমালায় সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে, কপিরাইট নিয়ে কোনো জটিলতা হলে প্রথমে কপিরাইট অফিসের সহায়তায় পারস্পরিক আলাপ ও সালিশির মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে বিষয়টি সুরাহা করার, অথচ এসব বিধির তিনি কোনো তোয়াক্কা করছেন না। মোটকথা, এ লাইসেন্সই পাওয়া অবৈধ। এ লাইসেন্স পেয়ে শুধু হয়রানি করতো, এটা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভীতিকর। অবিলম্বে ওই সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।

হামিন আহমেদ বলেন, গত ২৬ জুলাই একটি মিথ্যা মামলায় বিনা ওয়ারেন্টে বামবার সদস্য জামশেদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ। এ ঘটনা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি বিস্ময়কর ও মর্মাহত ছিলাম। যে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কপিরাইট আইনে এ মামলা করা হয়েছে, কিন্তু এটি কোনো ক্রাইটেরিয়াতেই পড়ে না। এটি একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ধারাও যুক্ত করা হয়। এ যদি অবস্থা হয়, তাহলে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য উদ্বেগজনক। একটি মিথ্যা মামলায় যদি একজন মিউজিক ব্যান্ড শিল্পীকে হাতকড়া পরাতে পারে, তাহলে সেটা দুঃখজনক।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এমআইবি প্রেসিডেন্ট এ কে এম আরিফুর রহমান, বিএফপিডিএ সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, এমআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট আনওয়ার হোসেন, হাসান মতিউর রহমান প্রমুখ।

কপিরাইট সুরক্ষার নামে সংগীত শিল্পী, মিউজিক কোম্পানি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও সার্ভিস প্রোভাইডারদের হয়রানির প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২০
টিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।