চলমান করোনা আতঙ্কের মধ্যেও বেশ ভালোই সময় পার করছেন ঢাকাই সিনেমার অন্যতম খলঅভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। হ্যাঁ, পশু-পাখি পালন আর এসবের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেতা।
অভিনেতা পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি এখন একজন খামারিও বটে। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নয়, কেবল শখের বসেই পশু-পাখির খামার গড়ে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন ডেঞ্জারম্যান’খ্যাত ডিপজল।
সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার ওই বাড়িতে ঢুকলে প্রথমেই চোখে পড়বে হাজার হাজার কবুতর আর পাখির মেলা। দেখে মনে হতে পারে কোনো পেশাদার পশু-পাখি খামারির বাড়ি, যেটি অভিনেতা ডিপজলের বাড়ি।
ঘুরে দেখা মেলে বিভিন্ন দেশের ও জাতের প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার কবুতর। পাংখি, আর্মি, রাণী, জুটপরি, সাফটিলা, চিলা, খাকি, ন্যাপটাসহ প্রায় ২০ জাতের কবুতর রয়েছে এখানে। দলবেঁধে থাকা এমন কবুতরের চমৎকার দৃশ্য যে কারো চোখ জুড়াবে।
আছে ‘রেসার’ কবুতরও, যেগুলো অংশ নেয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। শুধু কবুতর নয়, আছে বিভিন্ন দেশের ও জাতের এমন বাহারি রংয়ের পাখি। টিয়া, কাকাতুয়া, লরী, কাইশাপাখি, সেনেগাল, বাজিগরসহ অনেক প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
প্রায় সাড়ে তিনশ সিনেমায় অভিনয় করা এই অভিনেতা জানান, শখ থেকেই তার এই খামার গড়ে তোলা। কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়। সেই শৈশব থেকেই আমার কবুতর খামারের শখ। আর এই শখ থেকেই কবুতরের খামার গড়ে তোলা।
অনেক দামি দামি কবুতর আছে তার এই খামারে উল্লেখ করে ডিপজল আরও বলেন, ৫ লাখ টাকা দামের কবুতর আছে প্রায় ১০০টি। এছাড়াও গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি সবকিছু শখের বসেই পালন করেন বলেও জানান এই অভিনেতা।
পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় চোখে পড়বে একটি বড় গরুর খামারও। সেখানে বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। এর মধ্যে- জার্সি, ফ্রিজিয়াম, ব্রাহামা, সিন্ধি ও ভুট্টি। এসব খামার দেখাশুনার জন্য রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী। অনেকেই একসঙ্গে নানা প্রজাতির কবুতর দেখতে এখানে আসেন।
অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক ডিপজলের আরও বেশ কয়েকটি গরুর খামার রয়েছে। তিনি শখের বসে করলেও জানান কেউ চাইলেই কবুতর, পাখি কিংবা গরুর খামার করে সাবলম্বী হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
ওএফবি