ঝলমলে দুনিয়ায় ক্যারিয়ার গড়বেন বলে একসময় স্বপ্ন দেখতেন। কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করে সুযোগ পান তামিল সিনেমায়।
তিনি দিব্যা খোসলা কুমার। দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম তার। বাবার ছিল একটি ছাপাখানা এবং মা ছিলেন শিক্ষিকা। দিল্লিতে বি কম পড়ার সময় থেকে তিনি মডেলিং শুরু করেন। প্রথমে বিজ্ঞাপনে কাজ করতেন। পড়ে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন। শোবিজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলে যান মুম্বাই।
২০০০ সালে ফাল্গুনী পাঠকের ‘আইয়ে রামা হাথ সে ইয়ে দিল খো গ্যয়া’ তার প্রথম মিউজিক ভিডিও। এরপর সালমান খানের বিপরীতেও মিউজিক ভিডিও করার সুযোগ পান। তার দু’টি মিউজিক ভিডিও সুপারহিট হওয়ার পর তেলুগু সিনেমা ‘লভ টুডে’-তে প্রথম নায়িকা হয়ে অভিনয় করেন। এরপর ২০০৪ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘অব তুমহারে হাওয়ালে বতন সাথিয়ো’। তবে সিনেমাটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে।
সেই সিনেমার প্রযোজক অমিল শর্মার বাড়িতে একবার গান নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন দিব্যা। সেখানে টি-সিরিজের কর্ণধার প্রযোজক ভূষণকুমারও ছিলেন। তিনি প্রথম দর্শনেই দিব্যার প্রেমে পড়ে যান। সে থেকে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একসঙ্গে তাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়।
২০০৪ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় দিব্যার প্রথম সিনেমা ‘অব তুমহারে হাওয়ালে বতন সাথিয়ো’। এর ২ মাস পরে ভূষণ-দিব্যার বিয়ে হয়।
ভূষণকুমারকে বিয়ের পরে রাতারাতি ইন্ডাস্ট্রির নজরের কেন্দ্রে চলে আসেন দিব্যা। আগে তার কোনও অস্তিত্বই ছিল না। সেখান থেকে তিনি হয়ে ওঠেন ইন্ডাস্ট্রির সব থেকে বড় প্রযোজনা সংস্থার মালিক।
বিয়ের পর অভিনয় থেকে ধীরে ধীরে প্রযোজনায় পা রাখেন দিব্যা। ২০টি মিউজিক ভিডিও’র পরে দিব্যা সিনেমা পরিচালনা করেন। ২০১৪ সালে দিব্যাকে ‘ইয়ারিয়া’ সিনেমার পরিচালনার সুযোগ দেন স্বামী ভূষণকুমার। এর ২ বছর পরে তিনি পরিচালনা করেন ‘সনম রে’। পরিচালকের পাশাপাশি দিব্যা প্রযোজকও। ‘রয়’, ‘খানদানি শফাখনা’, ‘বাটলা হাউস’, ‘স্ট্রিট ডান্সার থ্রি ডি’, ‘লুডো’, ‘ইন্দু কি জওয়ানি’-র মতো সিনেমা প্রযোজনা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
জেআইএম