ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হলেন সংগীতশিল্পী কাজী হাবলু

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হলেন সংগীতশিল্পী কাজী হাবলু শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হলেন সংগীতশিল্পী কাজী হাবলু

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে নিযুক্ত হলেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কাজী হাবলু। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে এই পদে যোগদান করেন তিনি।

 

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কাজী হাবলু নিজেই। তিনি বলেছেন, ‘শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর থেকেই নিযুক্ত হয়েছি। তবে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুরোদমে কাজ শুরু করতে আরো কিছু দিন সময় লাগবে। ’

কেমন লাগছে পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়ে?- এমন প্রশ্নের উত্তরে কাজী হাবলু বলেন, ‘বেশ ভালো লাগছে। শিল্প-সংস্কৃতির তীর্থস্থান শিল্পকলা একাডেমি। এই বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক হওয়া নিঃসন্দেহে সম্মানের। প্রিয় মানুষজন ছাড়াও অনেকেই শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এখন সবার আন্তরিকতা নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালনের চেষ্টাই থাকবে। ’

নিজে দায়িত্বের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘পরিকল্পনা চলছি..। মাত্র তো নিযুক্ত হলাম। পুরোপুরি কাজ শুরু করি। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক আছেন, তার সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে, আলোচনা হবে। একাডেমি এবং দেশের সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আলোচনার মাধ্যমে যেসব পরিকল্পনা গৃহীত হবে, সেটাই সঠিকভাবে পালন করতে চাই। '

কাজী হাবলু সংগীতের প্রায় সমস্ত শাখায় কাজ করেছেন। তবে তাকে ব্যান্ড মিউজিকের কিংবদন্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। তার আগে কোনো ব্যান্ড শিল্পী এই দায়িত্ব পাননি।  

এ প্রসঙ্গে কাজী হাবলু বলেন, ‘শুধু ব্যান্ড মিউজিক দিয়ে আমাকে সীমাবদ্ধ করা যাবে না। আমি সব ধরনের গানই করেছি। দেশ স্বাধীনের আগে থেকে আমি বেতারে কাজ করেছি। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের প্রথম ব্যান্ড ‘স্পন্দন’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলাম। আজম খানের সঙ্গে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের গঠনেও যুক্ত ছিলাম। পরবর্তী সময়ে সরকারি বিভিন্ন আমন্ত্রণে গান করেছি। দেশের বাইরে অসংখ্য অনুষ্ঠানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি। সব মিলিয়ে আমার অভিজ্ঞতা এবং কর্মপরিধি রাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে বিধায় হয়ত আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ’

হাবলুর পরিচয় তিনি লাতিন পারকেশন (এলপি) বাজান। দেশীয় সংগীতাঙ্গনে পারকাশনিস্ট শব্দটি এলেই এই মানুষটির নাম সবার আগে আসে। পারকাশনিস্ট হিসেবে তাকে চেনেন না সংগীতাঙ্গনে এমন কেউ নেই বললেই চলে। ব্যান্ড সংগীতের একজন কিংবদন্তিতুল্য ব্যক্তিত্ব তিনি। বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের উত্থানের পেছনে যে ক’জনের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে তাদের মধ্যে কাজী হাবলু অন্যতম। সেই ষাটের দশক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নিরলসভাবে আমাদের সংগীতকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন গুণী এই মিউজিশিয়ান।

শৈশবে তবলায় শাস্ত্রীয় সংগীত দিয়ে তার হাতেখড়ি হয়। এরপর ধীরে ধীরে তিনি অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রে দক্ষ হয়ে ওঠেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি দেশ ও বিদেশের বিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে বাজিয়েছেন। বাংলাদেশের বাইরে তিনি ৪২টি দেশে পারফর্ম করেছেন। রয়েল অ্যালবার্ট হল, ম্যাডিসন স্কয়ার, শেন অডিটোরিয়াম লস অ্যাঞ্জেলসের মতো বিখ্যাত স্থানগুলোতে পারফর্ম করার কৃতিত্ব রয়েছে কাজী হাবলুর।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।