ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে প্রযোজকের বিরুদ্ধে ওমর সানীর জিডি

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে প্রযোজকের বিরুদ্ধে ওমর সানীর জিডি ওমর সানী

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি ও চিত্রনায়ক ওমর সানীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় থাকায় গত রোববার (২১ মার্চ) রাজধানীর গুলশান থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়রি) করেছেন এই অভিনেতা।

জিডি নাম্বার-১৪০৬। এটি দায়ের করা হয়েছে প্রযোজক ইকবাল হোসেন জয়ের বিরুদ্ধে।

এ প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেন, প্রযোজক ইকবাল আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করেছেন। কাঁটা চামচ দিয়ে আঘাত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে উপস্থিত সদস্যদের কারণে সেটা পারেননি। আমি নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত, তাই এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষর নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে  গুলশান থানায় জিডি করেছি। আমি বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত ও এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।  

এদিকে জিডি’তে ওমর সানী জানান, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডে রোববার রাত ১০ টায় প্রযোজক ইকবাল হোসেন জয় (আজীবন সদস্য নম্বর-১৬৩) সামান্য নাশতাকে কেন্দ্র করে এক কর্মচারীর সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করেন। এরপর ওমর সানীকে গালাগাল করেন ও তার প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এদিকে বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে পাল্টা অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন ইকবাল। ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ২২ দিনে আপ্যায়ন খরচ ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। চা-বিস্কুট বাবদ এই খরচ হয়েছে! কোনো অতিথি গেলে এত টাকা খরচ হয়? এ বিষয় নিয়ে ক্লাবে গালাগাল করেছি। আমি কোনো ব্যক্তিকে গালাগাল করিনি। কিন্তু উনি (ওমর সানী) গায়ে নিয়েছেন। আমি নিজেই বলেছি- আমাকে বহিষ্কার করুন। এই অনিয়মের মধ্যে আমি থাকতে চাই না। আমি কাউকে হুমকি দেইনি।

ফিল্ম ক্লাবের গোপন কক্ষে জুয়ার আসর বসে বলে অভিযোগ এনে তিনি আরও বলেন, ফিল্ম ক্লাবে ছোট্ট একটি রুমে আঙ্গুলের চাপ দিয়ে ঢুকতে হয়। সেখানে আমার আঙ্গুলের ছাপও নেই, অথচ আমি দুইবার ক্লাবের ইনচার্জ ছিলাম। সেখানে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলছে বাইরের লোক। এই অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করায় ওমর সানী আমার নামে গুলশান থানায় জিডি করেছেন।

এর পাল্টা জবাবে ওমর সানী ফেসবুকে লেখেন, ‘সে তো দুইবার মেম্বার-ইনচার্জ ছিলেন, ক্লাব সম্পর্কে উনি যা বলেছেন তাহলে কি তার আমলে তা হতো? এবং গত কেবিনেটে অমিত হাসান প্রেসিডেন্ট ছিলেন আমি এডমিন ইনচার্জ ছিলাম, তখন তো ইকবাল এগুলো বলেননি। তাহলে কোন স্বার্থে ঘা লাগলো? এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা বলেছেন ইকবাল, নিজের দোষ ঢাকার জন্য। ঢাকা শহরে যতগুলি ক্লাব যে আইনে চলে তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই ক্লাবও চলে!’

জানা যায়, এই ঘটনায় বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেড থেকে ছয় মাসের জন্য ইকবালের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।