করোনাকালে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের মধ্যে শুরুতেই রয়েছে চিত্রজগত। তবে মহামারির সব হতাশার মধ্যেও সারাবিশ্বে আলোড়ন তুলেছে অ্যাডাম উইংগার্ড পরিচালিত সায়েন্সফিকশন ও অ্যাকশন সিনেমা ‘গডজিলা ভার্সেস কং’।
কিং কং ফ্র্যাঞ্চাইজির ১২তম সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ৩১ মার্চ। এরপর ১১ দিনে সিনেমাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আয় করেছে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলার। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক আয় যোগ করে করোনা পরিস্থিতিতেও সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২৯৮ মিলিয়ন ডলার বা ২৫২৪ কোটি টাকারও বেশি।
করোনা পরবর্তী সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত 'ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪' ও ‘টেনেট’কে পেছনে ফেলে সিনেমার তালিকায় সবার শীর্ষে এখন 'গডজিলা ভার্সেস কং৷' সিনেমাটি এইচবিও ম্যাক্স সাবস্ক্রাইবদের জন্যও অতিরিক্ত ফি ছাড়াই দেখার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এর বক্স অফিস আলোড়ন দারুণভাবে প্রেরণা যোগাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের।
ফ্র্যাঞ্চাইজ এন্টারটেইনমেন্ট রিসার্চ পরামর্শদাতা ডেভিড এ গ্রস গণমাধ্যমকে জানান, 'করোনার এই সময়েও সিনেমাটি প্রথম দিন থেকে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রেক্ষাগৃহ খুলে দেওয়ার পেছনেও বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে এই সিনেমা। যদিও নিউইয়র্ক সিটি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসসহ অনেকগুলো জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধির নানা জটিলতায় অনেক প্রেক্ষাগৃহ এখনো খোলা সম্ভব হয়নি৷ তাহলে লাভের পরিমাণটা আরও বড় হতো। '
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
এমকেআর