‘হতাশা আর বেদনা ভুলে জীবনকে নতুন রূপে সাজাও। ধুলো আর পুরোনো বাঁশীটি মুছে নতুন কোন সুরে বাজাও’।
হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে এই দ্বৈত গানটি লিখেছেন বিল্লাল হোসেন জুয়েল, সুর করেছেন কাজী জামাল। এই গানটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজের হতাশাগ্রস্ত মানুষের জন্য চেতনা ও প্রেরণা জাগ্রত করার একটি প্রয়াস। এমনটাই জানালেন শিল্পী বিল্লাল হোসেন জুয়েল।
২০০৪ সালে ‘সেই যে বলে গেলে’ শিরোনামে প্রথম এ্যালবামটি বাজারে আসার পর থেকে জুয়েলকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংগীত পরিচালক হিসেবে ২ বছর কাজ করেছেন। তার ‘কিছু কথা কিছু সুর’ অনুষ্ঠানটি দর্শক-শ্রোতাদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।
জুয়েলের বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে গানটি ভাইরাল হয়েছিল। এরপর ‘বাংলাদেশের জান তুমি বাংলাদেশের প্রাণ, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান’ গানটি বেশ সাড়া জাগিয়েছিল। ক্রিকেট খেলা হলেই বেজে উঠতো গানটি। আন্তর্জালে এ গানটি প্রায় ২০ লাখ বার দেখা হয়েছে।
বিল্লাল হোসেন জুয়েলের কণ্ঠে বাংলাদেশের উন্নয়নের ওপর ‘বেঁচে থাকার মানেই শুধু নিশ্বাস নেয়া নয়, পায়ের তলায় শক্ত মাটি চাই নিরাপদ আশ্রয়’ গানটি খুবই পছন্দ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমাম। মধ্যবিত্ত পরিবারের দুঃখ-বেদনা ও নিদারুণ হাহাকার নিয়ে ‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটেনা, হৃদয় ভরা হাহাকার, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার’ গানটিও দারুণ সাড়া জাগিয়েছিল।
এবার প্লে-ব্যাক গায়ক বিল্লাল হোসেন জুয়েল আসছেন হৈমন্তী শুক্লার সাথে ডুয়েট গান নিয়ে। করোনার কারণে রেকর্ডিং বাধাগ্রস্ত হলেও কাজটি যতটা সম্ভব দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা সংগীতের নন্দিত গায়িকা হৈমন্তী শুক্লা।
‘গানে গানে জেগে উঠুক মানবতাবোধ’ - এ স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে বিল্লাল হোসেন জুয়েল এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে আমার ডুয়েট গানটি আশা করি এপার ওপার দুই বাংলার মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
এমকেআর