কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েই ভোটের টিকিট পেয়েছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। তৃণমূলের শক্তঘাঁটি হাওড়া জেলার শ্যামপুরে বিজেপিকে জেতানোর দায়িত্ব পড়েছিল তার উপর।
ভোটের প্রচারের ঝড় তুলেও নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারেননি এই অভিনেত্রী। ২ মে ভোটের ফলে পরাজিত হওয়ার দুই মাস কাটতেই এখন রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন অভিনেত্রী।
এ প্রসঙ্গে তনুশ্রী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমি রাজনীতি থেকে সরছি। এই মুহূর্তে যে কোনোরকম রাজনৈতিক পতাকার বাইরে থাকতে চাই।
তিনি আরও জানান, রাজনীতিতে যোগ দেওয়া, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কিংবা ভোটের ফল, রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানো, কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েই আমার দুঃখ-কষ্ট নেই। এই গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই আমি অনেক কিছু শিখেছি। তবে এখন আমি অভিনয়তেই মনোনিবেশ করতে চাই। পাশাপাশি অভিনেত্রী জানিয়েছেন, মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে আসার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় না।
ভোটের মুখে গত মার্চ মাসের ৮ তারিখ অর্থাৎ নারী দিবসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এটাই ছিল অভিনেত্রীর জীবনে প্রথম রাজনীতির পদক্ষেপ।
ওইদিন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়ে বলেছিলেন, আমার নতুন জন্ম হলো। তবে রাজনীতিতে পা রেখেই তার টিকিট পাওয়া নিয়ে বিজেপির অন্দরেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। সে সবে কান না দিয়ে প্রচারের ময়দানে ঝড় তুলেছিলেন তনুশ্রী। তবে শেষ হাসি হাসতে পারেননি। তাই কি মোহভঙ্গ হলো অভিনেত্রীর?
তনুশ্রীর বিজেপি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলের এখন এই প্রশ্নই তুলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
ভিএস/জেআইএম