করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা ও গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর।
তার ফুসফুসে ৬০ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।
ফকির আলমগীরের সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়ে রাজীব বলেন, ‘বাবার ফুসফুস ৬০ শতাংশ সংক্রমিত। এর বাইরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তার। শুক্রবার (১৬ জুলাই) বাবাকে দুই ব্যাগ প্লাজমা আর ইনজেকশনও দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে আইসিইউ থেকে ভিডিও কলে তিনি আমাদের সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। বাবা জানিয়েছেন, তিনি ভালো আছেন এবং সবাইকে চিনতে পারছেন। দেশবাসীর কাছেও দোয়াও চেয়েছেন। ’
রাজীব আরও বলেন, ‘তবে সমস্যা হচ্ছে বাবা কথা বলার সময় অক্সিজেন সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হলে স্বাভাবিক অক্সিজেন লেভেল কমে আসে। তবে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অক্সিজেন লেভেল স্বাভাবিক হলেই বলা যাবে বাবা সুস্থ হয়ে উঠছেন। ’
এদিকে, শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফকির আলমগীরের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে এসব গুজবে দেশবাসীকে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ফকির আলমগীরের পরিবার।
গেল বুধবার (১৪ জুলাই) ফকির আলমগীরের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন ফকির আলমগীর। এর আগে ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। স্বাধীনতার পর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন ফকির আলমগীর। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে তিনি একুশে পদকে সম্মানিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
জেআইএম