ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

হলি আর্টিজানের ঘটনা নিয়ে বলিউডে সিনেমা নির্মাণ বন্ধের দাবি

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
হলি আর্টিজানের ঘটনা নিয়ে বলিউডে সিনেমা নির্মাণ বন্ধের দাবি

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে বলিউডে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমা। গত মাসে ভারতীয় পরিচালক হাসনাল মেহতা ‘ফারাজ’ নামের সিনেমাটির শুটিং শুরুর ঘোষণা দেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। এই ঘটনায় একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় ২২ নিরীহ মানুষ নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়।  

সিনেমাটির খবরে ওই হামলায় নিহতদের পরিবার কঠোর আপত্তি জানিয়ে এটি নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে। হামলায় নিহতদের আত্মত্যাগের প্রতি সিনেমাটি চরম অসম্মান প্রদর্শন করবে বলে তারা মনে করছেন। এছাড়া সিনেমাটি পরোক্ষভাবে বাংলাদেশকে একটি চরমপন্থী রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করবে বলেও মত প্রকাশ করেন তারা।

হলি আর্টিজানের ঘটনায় এক নিহতের পরিবারের সদস্য বলেন, ‘সেই ভয়াবহ রাতের ঘটনাটি কোনো অবস্থাতেই আমাদের দেশ, আমাদের জাতি ও আমাদের ধর্মকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। বরং এরকম একটি ঘটনার সিনেমার মাধ্যমে পুনরাবৃত্তি মানুষের বিশ্বাসে বিরূপ ধারণার জন্ম দেবে যা সর্বোপরি আমাদের দেশের প্রতি অবিচার এবং দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে। ’

সিনেমাটিতে প্রকাশিত টিজার ও নাম থেকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, এতে সেই রাতের ঘটনায় নিহত ফারাজকে কেন্দ্র করে নির্মিত– যিনি ঘটনার সময়ে তার দু’জন বন্ধু অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈনের সঙ্গে ক্যাফেতে উপস্থিত ছিলেন। তারা তিনজনই নির্মমতার শিকার হয়ে ওই রাতে প্রাণ হারান।  

অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈনের পরিবার সিনেমাটি নির্মাণ কাজ দ্রুত বন্ধে নির্মাতা হানসাল মেহতা ও সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে।  

এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওই রাতের ঘটনা আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য শোকের কারণ, যা আমরা প্রতিনিয়ত বহন করে চলেছি। এরকম একটি ঘটনা যা মানুষের আবেগ ও অনুভূতিতে কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়ায়। অবিলম্বে সিনেমাটির চিত্রায়ন চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিৎ। ’

এছাড়া সিনেমাটি নির্মাণের পূর্বে নির্মাতা এবং সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের কারো পরিবারের কাছ থেকে কোনো প্রকার সম্মতি গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে।  

নিহত আবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ বলেন, ‘এরকম একটি ঘটনা যা জাতিকে তারা স্তব্ধ করে তুলেছিল। এটির চিত্রায়ন কখনো কোনো অবস্থাতেই সমীচীন নয়। ’ 

সিনেমাটির মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান, এটি ইসলাম ধর্মকে অপব্যাখা করে এবং হামলায় নিহতদের আত্মত্যাগের স্মৃতির প্রতি অসম্মানজনক বলেও মত প্রকাশ করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।