ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

৭৯ বসন্তে বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
৭৯ বসন্তে বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত আবুল হায়াত

জীবন সংসারে নেই কোনো বিতর্ক কিংবা ব্যর্থতার সিলমোহর! তার জীবনের পরতে পরতে পরিপূর্ণ প্রশংসা-প্রাপ্তি আর ভালোবাসা। তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা আবুল হায়াত।

বরেণ্য এ অভিনেতার জন্মদিন বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর)। তিনি পা দিলেন ৭৯ বছরে।  

দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই এই অভিনেতার। তবে জন্মদিন উপলক্ষ্যে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে থেকে চ্যানেল আইতে ‘তারকা কথন’ নামে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন এ অভিনেতা।  

এদিকে জন্মদিনে ভক্ত দর্শকদের বিশেষ কিছু উপহার দেওয়ার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছেন তিনি। এ লক্ষ্যে লিখেছেন নতুন মঞ্চ নাটক। নাম ‘শোধ’। এটি আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তন মঞ্চে মঞ্চস্থ হবে। এটি প্রযোজনা করছে স্টেজ ওয়ান ঢাকা। নির্দেশনা দিচ্ছেন ডমিনিক গোমেজ।  

জন্মদিন প্রসঙ্গে এবং নতুন নাটক প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, ‘জন্মদিনে একটাই চাওয়া আমার, আমি যেন আমার অসমাপ্ত কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করে যেতে পারি। বর্তমানে অভিনয়ের চেয়ে লেখালেখির দিকে মনোযোগটা বাড়াচ্ছি। যে কারণে নিজের জীবনী লেখার দিকেও মনোযোগটা বেড়েছে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘জন্মদিনে যথারীতি আমার বড় মেয়ে বিপাশা এবং তার পরিবারের সবাইকে খুব মিস করব। সবার কাছে দোয়া চাই আমি আমার স্ত্রী, সন্তান, নাতি নাতনিদের নিয়ে যেন ভালো থাকতে পারি। এক জীবনে অনেক প্রাপ্তি, মহান আল্লাহর কাছে অসংখ্য শুকরিয়া। ’ 

এদিকে সম্প্রতি চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় ‘আনন্দধাম’ নাটকে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত। শিগগিরই আরিফ খানের পরিচালনায় নতুন একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ অভিনেতা।

আবুল হায়াতের জন্ম ১৯৪৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে চাকরি জীবন শুরু করলেও এক বছর পর ১৯৬৯ সালে অভিনয়ে নাম লেখান তিনি।

‘ইডিপাস’ নামের নাটক দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় অভিষেক হয় আবুল হায়াতের। এরপর থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন এ অভিনেতা।  

অভিনয়ের বাইরে নির্মাতা আবুল হায়াতের বেশ সুনাম রয়েছে। এর বাইরে লেখক হিসেবেও সফল তিনি। তার লেখা প্রথম উপন্যাস ‘আপ্লুত মরু’ প্রকাশ হয় ১৯৯১ সালের বই মেলায়। এরপর ‘নির্ঝর সন্নিকট’, ‘এসো নীপ বনে’, ‘অচেনা তারা’, ‘জীবন খাতার ফুট নোট’ ও ‘জিম্মি’ বইগুলো লিখেছেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবনে আবুল হায়াতের দুই মেয়ে বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াত। দুজনেই শোবিজের মানুষ। বিপাশার স্বামী তৌকীর আহমেদও একজন নন্দিত অভিনেতা-নির্মাতা। এছাড়া নাশাতার স্বামী শাহেদ শরীফ খানও জনপ্রিয় অভিনেতা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।