ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বিপন্ন প্রজাতির মেছো বিড়াল অবমুক্ত

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৮ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
বিপন্ন প্রজাতির মেছো বিড়াল অবমুক্ত

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিপন্ন প্রজাতির একটি ‘মেছো বিড়াল’ (Fishing Cat) উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।

রোববার (৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির চন্ডিনগর গ্রামের সামছুজ্জামানের বাড়ি থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।

ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেছো বিড়ালটি মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) ২০০৮ সালে মেছো বিড়ালকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন, মেছো বিড়াল মূলত খাল, বিল ও ঝোপঝাড়ে বসবাস করে। এরা মূলত মাছসহ বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে। কখনও সুযোগ পেলে গৃহপালিত হাঁস-মুরগিও ধরে নিয়ে যায়।

স্থানীয় ও বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির চন্ডিনগর গ্রামের সামছুজ্জামানের বাড়িতে মেছো বিড়ালটি কয়েকদিন ধরে হানা দিচ্ছিল। বিড়ালটি তাদের কয়েকটি হাঁস-মুরগিও খেয়ে ফেলেছে। সম্প্রতি সামছুজ্জামানের বাড়ির লোকজন মেছো বিড়ালটি ধরতে ফাঁদ পাতেন। সেই ফাঁদে সেটি আটকা পড়ে। রোববার তারা বিষয়টি ফোনে বনবিভাগকে জানান। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে বনবিভাগের লোকজন সেখানে গিয়ে বিড়ালটি উদ্ধার করেন। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেছো বিড়ালটি মাধবকুণ্ডে অবমুক্ত করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা খন্দকার রেজা বলেন, আমাদের পাশের এলাকা চন্ডিরনগর গ্রামের সামছুজ্জামানের বাড়িতে একটি মেছো বিড়াল ধরা পড়েছে। এটি দেখতে অনেকটা বাঘের মতো। বাড়ির লোকজন বলেছেন, তাদের বাড়িতে মেছো বিড়ালটি কয়েকদিন ধরে হানা দিচ্ছিল। তাদের গৃহপালিত হাঁস-মুরগি বিড়ালটি খেয়ে ফেলেছে। পরে তারা ফাঁদ পেতে এটিকে আটক করে বনবিভাগকে জানান। বনবিভাগের লোকজন এসে এটিকে নিয়ে গেছে।

বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বিকেলে বলেন, সম্প্রতি চন্ডিনগর গ্রামের সামছুজ্জামানের বাড়িতে একটি মেছো বিড়াল ধরা পড়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিড়ালটিকে মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
বিবিবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।