সাপপাচারের অভিযোগে গত ১৭ মে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণি রেঞ্জের হাতে আটক হন রুবেলসহ (২১)অপর দুজন। পর দিন ১৮ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে সংক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বণ্যপ্রাণি আইন বিষয়ে নিজের অজ্ঞতার কথা জানান।
রুবেল আরো বলেন, তিন বছর আগে আমি সিএনজি অটোরিকশা চালাতাম। ছোটবেলা থেকে সাপুড়েদের সাপের খেলা দেখে দেখে ভীষণ মুগ্ধ হতাম। মনে ইচ্ছে ছিল, আমিও যদি সাপ ধরতে পারতাম। এই আনন্দের কথা জানালে এক সাপুড়ে আমাকে তার সাপ ধরার কৌশল শেখায়। পরে আমি ধীরে ধীরে এই লাইনে আসি।
সাপ সম্পর্কে রুবেল বলেন, সাপ ধরার জন্য কয়েকটি বিষয় জরুরি। প্রথমেই প্রচুর সাহস প্রয়োজন। তারপর কিছু কলাকৌশল জানা থাকতে হবে। আর সবশেষ একটি বিশেষ গাছের শেড়ক আমাদের সাথে থাকে। দুস্প্রাপ্য এ গাছটির নাম ‘আস্তিকমণি’। তবে বিশেষ দক্ষতার সাথে মনের আগ্রহটাই সাপ ধরার ক্ষেত্রে প্রধান।
দুই বছরে ধরা সাপ সংখ্যা জানতে চাইলে রুবেল বলেন, আলোদ, দুধরাজ, ধারাজ, শঙ্খিনী, কেউটে বা গোখরা প্রভৃতি সাপের সংখ্যা প্রায় পঁচিশ-ত্রিশটার মতো হবে। সিলেট বিভাগের এমন কোনো থানা নেই যে আমি যাইনি। এছাড়াও ময়মনসিংহ, ঢাকা, সাভার, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা প্রভৃতি এলাকা ঘুরেছি। তবে স্যার আমি যেখান-সেখান থেকে সাপ ধরি না। মানুষের ঘরে সাপ ঢুকে পড়লে মানুষ ভয় পেয়ে আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে তা ধরি। এটা আমি নিতান্ত শখের বসে করি।
রুবেল বলেন, ১৭ মে শ্রীমঙ্গলের টিপরাছড়া চা বাগানের শ্রমিকদের ঘর থেকে ১টি বিষধর কালোগোখরা এবং ২টি ধারাজ সাপ ধরে অন্য সাপুড়ের কাছে ১৭শ’ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু স্যার, বিশ্বাস করেন, এই সাপ বিক্রির আইনগত নিষেধের কথা আমি জানতাম না। এখন থেকে সাপ ধরার এ নেশা ছেড়ে দিবো, স্যার।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
বিবিবি/