ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

পরিবেশ ধ্বংসের জন্য দায়ী আমরাই 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৮
পরিবেশ ধ্বংসের জন্য দায়ী আমরাই  সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা:  পলিথিনজাত পণ্য ব্যবহার করে তা যেখানে-সেখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট আমরা নিজেরাই করছি। সরকার আইন করছে কিন্তু তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তা সত্বেও আমরা নিজেরা যদি পলিথিন ব্যবহারের পর তা ধ্বংস করে ফেলি বা পুড়িয়ে ফেলি তাহলে পরিবেশ দূষিত হবে না। তাই আমাদের নিজ নিজ সচেতনতার জায়গা প্রসারিত করতে হবে। 

রোববার (১ এপ্রিল) মানবদেহ ও পরিবেশের উপর পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তরুণ নেতারা।  

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দলমত নির্বিশেষে এতো বড় হুমকি মোকাবিলা করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।

রাজধানীতে একটি পরিবার প্রতিদিন ঘরে চারটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে। সে হিসেবে শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার শেষে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু যদি আমরা পলিথিনকে ফেলে না দিয়ে ধ্বংস করে ফেলি বা পুড়িয়ে ফেলি অর্থাৎ মাটির সঙ্গে মিশতে না দেই তাতেও সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। কেননা এ পলিথিন নষ্ট হয় না ফলে মাটির গুণাগুণ নষ্টকারক হিসেবে কাজ করে।  এছাড়া রাজধানীসহ সারাদেশে নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির প্রায় ২০০ কারখানা রয়েছে। যার বেশিরভাগই পুরান ঢাকায়। বন্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে আমদানি করা পলিপ্রোপাইলিন অবৈধভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

পলিথিনের মাধ্যমে মারাত্মক সব রোগের ঝুঁকি রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত এবং ব্যবহারের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তি স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। পলিথিন ব্যবহারে চর্মরোগ এবং ক্যান্সারসহ অন্য জটিল রোগ আক্রমণ করতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে চর্ম রোগের এজেন্ট হিসেবে খ্যাত এই পলিথিনকে রং করতে ক্যাডমিয়ামের প্রয়োজন হয়। আর এই ক্যাডমিয়াম যেকোনো সময় খাবারের সঙ্গে মিশে ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক সিরাজুম মুনির টিপুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন একই সংগঠনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাফরুহা মারফি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাজমুন নাহার, ব্যারিস্টার শেখ মো. সামিউল ইসলামসহ প্রমুখ।  

এ সময় বক্তারা সরকারকে প্রচলিত আইন বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়ে পাট ও কাপড়ের ব্যাগের প্রচলন বাড়াতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ ও প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন। এছাড়া পলিথিনের বিকল্প হিসেবে জনসাধারণকে নতুন পাটের তৈরি পচনশীল পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের আহ্বান জানান। যাতে ৭০ ভাগ পাটসহ ৩০ ভাগ অন্য রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত থাকে এবং যা ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে মাটির সঙ্গে মিশে যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।