ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দৃষ্টিনন্দন ‘মানুষরূপি সিপ বাগ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
দৃষ্টিনন্দন ‘মানুষরূপি সিপ বাগ’ লিচু মৌসুমের পোকা ‘মানুষরূপি সিল বাগ’-ছবি : ড. মনোয়ার হোসেন

মৌলভীবাজার: পোকাটির পিঠে রয়েছে মানুষের চেহারার অল্পবিস্তর ছাপ। উল্টো করে দেখলে তা বুঝতে অসুবিধে হয় না। এর ইংরেজি নামেও ধরা পড়ে মানুষের চেহারার নির্দেশনা। এই পোকাটিকে সব সময় দেখা যায় না। বিশেষ সময়ে সে এসে প্রকৃতিতে হাজির হয়, ছড়ায় ধ্বংসযজ্ঞ।

কমলা, কালো আর সাদা এই তিন রঙের দৃষ্টিকাড়া এক বিশেষ ধরনের পোকা এটি। শরীরজুড়ে তার কমলা রঙের ছাপই বেশি।

তারপর কালো এবং সাদা। সাদা রঙটি অল্পভাবে উপস্থাপিত। রঙগুলোর এমন সংমিশ্রণের জন্য সে দৃষ্টিনন্দন হয়েই বিরাজ করে প্রকৃতিতে।
 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এবং প্রজাপতিবিদ ড. মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এই পোকার ইংরেজি নাম হলো Human-face See Bug। ঠিক ওইভাবে এর বাংলা নাম নেই। তবে সাধারণভাবে বলা যায়- ‘মানুষরূপি সিল বাগ’ বা ‘মানুষরূপি গান্ধিপোকা’।
 
তিনি আরও বলেন, যদিও এই কীট দেখতে অনেক সুন্দর। কিন্তু লিচু ফলের জন্য এরা বেশ ক্ষতিকারক। এই জেনাস বা গণের প্রজাতিরা লিচুর ক্ষতির জন্য বাংলাদেশে স্বীকৃত।

নাম প্রসঙ্গে ড. তুহিন জানান, এ প্রজাতিটির সুস্পষ্ট বাংলা নাম নেই। তবে কমন একটি নাম আছে। এটি হলো গান্ধিপোকা গ্রুপ। ইংরেজিতে ‘বাগ’ শব্দটির মাধ্যমে গান্ধিপোকাকে বোঝানো হয়।  

তিনি আরও বলেন, একটা সিজনে আমাদের জাহাঙ্গীরনগরে এটি বেশি দেখা যায়। সারাদেশে এই প্রজাতির কীটগুলো নাও থাকতে পারে। তবে দিনাজপুরে যেহেতু লিচু হয়, তাই ওখানে এটি থাকার সম্ভাবনা যথেষ্টই।
 
পোকা, কীট বা পতঙ্গ এদের অপকারিতার পাশাপাশি উপকারিতাও রয়েছে। এরা পরাগবহন করে অনেক সপুষ্পক উদ্ভিদ প্রজাতির জীবনচক্রের জন্য অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব পালন করে চলেছে। মানুষসহ অধিকাংশ জীবসত্তা এসব উপকারী পতঙ্গদের উপর কোনো না কোনোভাবে নির্ভরশীল বলে জানান কীটগবেষক ড. মনোয়ার হোসেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
বিবিবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।