ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

মাধবকুন্ডের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
মাধবকুন্ডের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক

মৌলভীবাজার: বুনো বিষের কারণে মরে যাওয়া জলজপ্রাণীর মৃত্যুশোক কাটিয়ে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত মাধবকুন্ড জলপ্রপাত। পর্যটকরা এখন আসতে শুরু করেছেন এখানে। কয়েক দিনের বিষন্নতা কাটিয়ে পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকায় দেখা গেছে পর্যটকদের উপস্থিতি।

এর আগে রোববার (০৩ নভেম্বর) মাধবকুন্ডের পানিতে স্থানীয় মাছশিকারী কর্তৃক ভয়ানক ক্ষতিকর ‘বিষলতা’ নামক বুনোবিষ প্রয়োগ করা হয়।

এতে মাধবকুন্ড ঝর্ণার পানিতে মরেছে অসংখ্য জলজপ্রাণী। হুমকির মুখে পড়েছিল এর জীববৈচিত্র্য।

পাথারিয়া পাহাড়ের কঠিন পাথরের ওপর দিয়ে প্রবাহমান এবং নিম্নেপতিত জলধারাই মাধবকুন্ড ঝর্ণা। এটি প্রায় ১৬২ ফুট উপর থেকে পতিত হয়ে মাধবছড়া নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এই মাধবছড়ার পানি প্রবাহিত হয়ে হাকালুকি হাওরের সঙ্গে মিশেছে।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এবং বড়লেখা উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, মাধবকুন্ডে পরিস্থিতি এখন একদম স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বহু পর্যটক এখানে বেড়াতে এসেছেন। আর কোনো চিন্তার কারণ নেই। পর্যটকরা এখন ইচ্ছে করলে গোসল করতে পারবেন। এই ঘটনায় ইমরান নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।

‘মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে মাছ মারা যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আমরা পানি পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করেছি। পানির পিএইচ, দ্রবীভূত অক্সিজেন, এমোনিয়া, হার্ডনেস, টিডিএস স্বাভাবিক আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ পাহাড়ি ছড়ায় বিষলতা দেওয়ার কারণে মাছগুলো মারা গিয়েছিল। ’

সিনিয়র এই মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে যেন ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা দ্বিতীয়বার না ঘটে। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদারকি করছে।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আল ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, মাধবকুন্ডের পানি এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোনো সমস্যা নেই। এখানে আমরা মাছসহ অন্য জলজপ্রাণী ছেড়ে দেখেছি যে ওরা স্বাভাবিকভাবে বেঁচে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
বিবিবি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।