মৌলভীবাজার: চলতি বছরের সদ্য উল্টানো হলো জানুয়ারি মাসের ক্যালেন্ডারের পৃষ্ঠা। এসে গেছে ফেব্রুয়ারি।
তখন কোনো কোনো দিন নেমে আসে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়াও মাঝারি এবং মৃদু এই দুই ধরনের শৈত্যপ্রবাহের দাপটও বয়ে যায় এ শহরের ওপর দিয়ে। অনেক সময় সূর্যের দেখা না মিলায় বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতপ্রধান অবস্থাকে ঘিরে প্রকৃতির আরেকটি রূপ প্রকাশিত হতে শুরু করে এখানে। এই শীতকে কেন্দ্র করেই বাইক্কা বিল মৎস্য অভয়াশ্রমে ভিড় করে আবাসিক ও পরিযায়ী জলচর অসংখ্য পাখিরা। কুয়াশার ধোঁয়াটে চাদর হিমকাতরার মধ্য দিয়ে দখল করে নেয় চায়ের বিস্তৃত নগরী।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারিতে দিনের সংখ্যা ছিল ৩১টি। সেই ৩১ দিনের মাঝে ১০ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে।
দেশের শীতপ্রধান অঞ্চল হিসেবে খ্যাত শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তালিকার দিন এবং তাপমাত্রা পরিসংখ্যান রেকর্ড যথাক্রমে: ৫ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ জানুয়ারি ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ জানুয়ারি ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ জানুয়ারি ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ জানুয়ারি ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৩ জানুয়ারি ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৬ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৩০ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিসংখ্যানে এরপরের স্থানগুলো পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া, নওগা জেলার বদলগাছি, কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
বিবিবি/এএটি