বগুড়া: বগুড়ায় ৩৫ কচ্ছপসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার তিনমাথা রেলগেট এলাকা থেকে কচ্ছপগুলোসহ ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
উপজেলা শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্ট রিসার্চের (তীর) সাবেক সভাপতি মো. আরাফাত রহমান জানান, সোমবার দুপুরে তীরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হোসেন রহমান তিনমাথা রেলগেট এলাকায় কাছিমগুলো বিক্রির সময় দেখতে পায়। কৌশলে তিনি ছবি তুলে দেখালে এগুলো দেশীয় প্রজাতি নিশ্চিত হয়ে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিকসহ তীরের সদস্যরা কচ্ছপগুলো গাড়িতে তোলার সময় সেগুলোকে উদ্ধারসহ দুইজনকে আটক করেন।
তিনি জানান, আমরা বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক এর উপস্থিতিতে পরবর্তীতে যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে নিয়ে দুটি বস্তা থেকে কচ্ছপগুলো বের করে গণনা করি। উদ্ধারকৃত কচ্ছপগুলোর নাম (Indian flapshell turtle) বাংলায় সন্ধি কচ্ছপ। একসময় সারা দেশেই এগুলো পাওয়া যেত। অতি আহরণের কারণে এখন এ কচ্ছপ পাওয়া যায় না বললেই চলে।
আটককৃত রফিকুল ইসলাম ও গোবিন্দ চন্দ্র রায় জানান, তারা বিক্রির জন্য নোয়াখালী, ভৈরব ও মুন্সিগঞ্জ থেকে কচ্ছপগুলো সংগ্রহ করে এনেছে। প্রতি মাসে তারা এ ধরনের দু-তিনটি চালান বিক্রি করে থাকেন।
বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, প্রতিকেজি কচ্ছপ ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা দরে বিক্রি হয়। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী কচ্ছপ ধরা, শিকার, কেনা-বেচা, খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তীরের বর্তমান সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক রিফাত হাসান, সহ সভাপতি মুকিম মাহমুদ কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবীবসহ বন প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ মার্চ থেকে বগুড়া যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ও ফরেনসিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ট্রেনিং চলমান আছে। ফলে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহির উদ্দিন আকন মহোদয়ের উপস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
এএটি