ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

শান্তির পায়রার সঙ্গে এ কেমন শক্রতা!

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২১
শান্তির পায়রার সঙ্গে এ কেমন শক্রতা! মৃত কবুতর। ছবি: বাংলানিউজ

বরগুনা: কবুতর হলো শান্তির পায়রা। আর এই শান্তির পায়রা শখ করে গ্রামের বাড়িতে পুষে থাকেন অনেকেই।

মাঝে মাঝে বাণিজ্যিকভাবেও পুষে থাকেন কেউ কেউ।  

শান্তির পায়রাগুলো বাড়ির খাবারের পরেও স্বভাবতই উড়ে খাবারের সন্ধান করে। যখন খাদ্যের সন্ধানে কৃষকের ক্ষেতখামারে যায়, সেখান থেকে খাবার খায় তখনই কৃষকের শক্র হয়ে দাঁড়ায়। ক্ষেতের ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে ওঠে কৃষক।  

বরগুনার পাথরঘাটায় ক্ষেতের মুগ ডাল নষ্ট করায় শাহআলম নামে এক কৃষক বিষ দিয়ে শতাধিক কবুতরসহ নানা প্রজাতির পাখি মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মঠেরখাল গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত কবুতর খামারি সেলিম মোল্লা ও ফিরোজ মিয়া জানান, প্রতি বছর এই সিজনে দক্ষিণাঞ্চলে মুগ ডাল চাষের বাম্পার ফলন হয়। যখন গাছে ফলন ধরে তখন কবুতরসহ নানা ধরনের পাখি ঝাঁক বেঁধে মুগ ডালের ক্ষেতে বসে খাবার খায়। তখন অসৎ কিছু কৃষক কবুতরসহ ঘুঘু পাখি নিধন করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে।  

এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষেতে ফসল কম হয়েছে। এ কারণে ফসল রক্ষার জন্য কৃষক শাহআলম কবুতরসহ ঘুঘু মারতে ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তার ক্ষেতে ছিটিয়ে দেয়। ওই বিষাক্ত ধান খেয়ে শতাধিক কবুতর, ঘুঘু ও বাবুই পাখিসহ নানা প্রজাতির পাখি মারা যায়।  

এ সময় আক্রান্ত ঘুঘু পাখিগুলো ধরার সময় শাহআলমসহ কয়েকজনকে গ্রামের লোকজনে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।  

ক্ষতিগ্রস্ত কবুতর খামারি সেলিম মোল্লা ও ফিরোজ মিয়াসহ ১০/১২ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার চেয়ে অভিযোগ করবেন বলে জানান। তারা ক্ষেত থেকে শতাধিক মৃত কবুতর ও ঘুঘু পাখি সংরক্ষণ করেছে।

পাথরঘাটা উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল হক বলেন, আমি রাত ১০টার পরে বিষয়টি শুনেছি। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার যাচাই বাছাই করে পাথরঘাটা উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানার সঙ্গে আলোচনা করে বন্যপ্রাণী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।