কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে আরও একটি মৃত তিমি।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন এ মৃত তিমিটি দেখতে পান।
এর আগে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজারের রামুর হিমছড়ি পয়েন্টে সাগরের জোয়ারের পানি নেমে গেলে একইস্থানে প্রায় ৪৪ ফুট লম্বা বিশালাকার তিমিটি দেখতে পান স্থানীয়রা। যে তিমিটির ওজন আড়াই টনের বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে শুক্রবার রাতেই মৃত নীল তিমিটি বালুচরেই মাটি চাপা হয়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার ভেসে আসা তিমিটি বিশাল আকৃতির হওয়াতে অনেক চেষ্টার পরও এটি বেশি দূর তুলে আনা সম্ভব হয়নি।
“যেহেতু দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল সে কারণে নিরুপায় হয়ে নমুনা সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বালুচরেই এটি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এ কাজ শেষ করতে রাত প্রায় দু্ইটা বেজে যায়। কিন্তু এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই ভেসে এলো আরেকটি বিশালাকার মরা তিমি। ” যোগ করেন তিনি।
এ তিমিটিও একইভাবে মাটি চাপা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ইউএনও প্রণয় চাকমা।
বাংলাদেশ ফিসারিজ রিচার্স ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গবেষক মোহাম্মদ আশরাফুল হক বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার ভেসে আসা নীল তিমিটি “ব্রাইটস হোয়েল” প্রজাতির (Bryde's Whale) বলে মনে হচ্ছে। এটি বেশ প্রাপ্ত বয়স্ক। মরা তিমিটির শরীর থেকে হাড় বের হয়ে গেছে। পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এটি ১০ থেকে ১৫ দিন আগে মারা গেছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
একইভাবে শনিবার ভেসে আসা তিমিটিও দেখতে একই রকম এবং একই প্রজাতির হতে পারে।
বার্ধক্যজনিত কারণে তিমিটি মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন>>
** দরিয়ানগর সৈকতে ভেসে এলো বিশালাকায় মরা তিমি
** হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসা মরা তিমিটি ‘ব্রাইড’স হোয়েল’ প্রজাতির
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
এসবি/আরআইএস