ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

নতুন পরিকল্পনায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
নতুন পরিকল্পনায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের স্থাপত্য নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বুধবার (২২ জুন) বিকেলে উদ্যানের জলাধারের পূর্ব পাশে মন্ত্রী বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রঞ্জিত কুমার দাস, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক মীর হাবিবুল ইসলাম।  

মন্ত্রী বলেন, এই সেই ঐতিহাসিক উদ্যান যেখানে পাকিস্তানের গভর্নর ১৯৪৮ সালে বক্তব্য রেখেছিল বলেছিল উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা। তখন ‘নো’ ‘নো’ বলে প্রতিবাদ হয়েছিল। এটাকে স্বাধীনতার শুভ সূচনা হয়েছে বলতে পারেন। এখানেই জাতির পিতা ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।

সবকিছুকে বিবেচনায় নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বৃক্ষরোপণের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছিল।  
পুরো প্ল্যান বাস্তবায়ন হতে সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় সচেতন থাকবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রণালয়ের সচিব রঞ্জিত কুমার দাস জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুরো এলাকায় গাছ লাগানোর সুষ্ঠু বিন্যাসের সুবিধার্থে উদ্যানের প্রকল্পনাধীন এলাকার মাস্টার প্ল্যানকে ৭টি জোনে (A, B, C, D, E, F, G) ভাগ করে বিদ্যমান গাছের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জোনসমূহের ভিন্ন ভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ যেমন: শোভাবর্ধনকারী, সুগন্ধি জাতীয় ফুল, বিরুৎ, গুল্ম/স্বল্প উচ্চ, বৃক্ষজাতীয়, ভেষজ, ফল, হেজজাতীয়, কাঠজাতীয়, বিলুপ্ত/বিপন্ন ইত্যাদি রোপণ করা হবে।
 
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জন্য প্রণীত স্থাপত্য নকশা ও এর আলোকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় চলমান কার্যক্রম অবহিতকরণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সবুজায়নের বিষয়ে উদ্ভিদবিদ, পরিবেশবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলী ও সুশীল সমাজের মূল্যবান মতামত/পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে ঢাকার সেগুনবাগিচার গণপূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে গত ২৪ জুন একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়। উপর্যুক্ত কর্মশালায় প্রাপ্ত মতামত/পরামর্শের আলোকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কী কী গাছ লাগানো যায় তা সুপারিশের জন্য গত ১৮ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনর রশিদ খানকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই আলোকে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
এসকেবি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।