ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ঢাকার শিল্পকলায় মেঘালয়ের খাসি সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
ঢাকার শিল্পকলায় মেঘালয়ের খাসি সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি

ঢাকা: রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইউ সিয়েম তিরোত সিং - ইউ খ্লা ওয়েইট কা রি খাসি’ শীর্ষক একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও মেঘালয় রাজ্য সরকারের শিল্প ও সংস্কৃতি বিভাগের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে মেঘালয়ের খাসি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও ব্রিটিশ শাসন বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল খাসি বীর সিয়েম তিরোত সিং-এর জীবন ও কর্মের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি সাংস্কৃতিক প্রদর্শন।  
এছাড়াও ছিল ‘লামা কা রি’ (আমার প্রিয় ভূমির পতাকা) শীর্ষক গান, ‘পাইনসুক সিয়েমিয়ং’, ‘সামারসল্ট’ ও ‘লামফাং সিয়েমলিচ’ (সিয়েম তিরোত সিং-এর বংশধর) দ্বারা পরিবেশিত ‘ইউ সিয়েম - মাই হিরো’ গান, ‘কিরমেনলাং শাবং’ কর্তৃক বালির শিল্পে সিয়েম তিরোত সিং-এর জীবন ও মৃত্যুর চিত্রায়ণ।   

আয়োজনে মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার সকালে ব্রিটিশ বিরোধী খাসি আন্দোলনের বিপ্লবী বীরযোদ্ধা তিরোত সিংয়ের ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয় ঢাকায়। ধানমন্ডির ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে স্থাপিত ভাস্কর্যটি উন্মোচন করেন মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী স্নিয়াওভালাং ধর এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।

১৮২৯ সালে শুরু হওয়া ব্রিটিশ বিরোধী খাসি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খাসি পাহাড়ের তিরোত সিং। যুদ্ধ চলাকালে ১৮৩৩ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা কারাগারে পাঠায় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। বন্দি থাকাবস্থায় ১৮৩৫ সালের ১৭ জুলাই মারা যান তিনি। তার মৃত্যুদিনকে ‘তিরোত সিং দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী স্নিয়াওভালাং ধর বলেন, খাসি জনগোষ্ঠীর অপ্রতিরোধ্য চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন তিরোত সিং। যে ঢাকায় তিনি শহীদ হয়েছেন, সেখানে তার ভাস্কর্য উন্মোচন ‘খাসি পাহাড়ের বীরের’ প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনেরই অংশ।  

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ঔপনিবেশিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার সাহসিকতা ও নিজের জনগণের স্বাধীনতার জন্য নিঃস্বার্থ সাধনার প্রকাশ হয়ে থাকবে তিরোত সিংয়ের এই ভাস্কর্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
এইচএমএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।