ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

বাংলালিংকের নৌকা বাইচ

‘ঝিলমিল ঝিলমিল করেরে ময়ূর পংখীর নায়’

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৫, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১২
‘ঝিলমিল ঝিলমিল করেরে ময়ূর পংখীর নায়’

সুরমা তীর (সিলেট) থেকে: ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইলো কেমন দেখা যায়/ঝিলমিল ঝিলমিল করেরে ময়ূর পংখীর নায়’- সুরমার দুকূল জুড়ে এমন উৎসরেব অন্যরকম দিন ছিলো শনিবার।

কড়া সূর্যের অসহ্য উত্তাপ অযুত মানুষের ভিড় থামাতে পারেনি।

হাজারো মানুষের পদভারে সত্তোর্ধ্ব ক্বিনব্রিজও সেজেছে মানুষ্যব্রিজে। নদীর দুই তীরে ঢেউ খেলে আছড়ে পড়া সৌন্দর্যে উল্লাসের চিৎকার ভেসে যাচ্ছে কালের স্রোতে।

দুপুর থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত এ চিত্র ছিলো সিলেটের প্রাণকেন্দ্র সুরমা নদীর ক্বিনব্রিজ আর চাঁদনীঘাটের সিড়িসহ আশপাশের দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। ঐতিহ্য লালন করতে বাংলালিংক ৭ম বারের মতো আয়োজন করে বিভাগীয় এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে  বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জৌলুস ছড়িয়ে ময়ূর পংখী নাও নামে সুরমায়।
 
ঝিলমিল নৌকার দোলায় অনুষ্ঠিত হয় সিলেট বিভাগীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় নৌকাবাইচের আসর।  

‘চন্দ্র-সূর্য বান্ধা আছে নাওয়েরই আগায়, দূরবীনে দেখিয়া পথ মাঝি-মাল্লায় বায়’- শাহ আবদুল করিমের গানের দর্শন যাই হোক সুরমার তীরে কুড়ি বিশেকের উপরে নৌকা তার গান পূর্ণভাবে ধারণ করে হাজারো দর্শক মনকে অফুরান আনন্দ দিয়েছে। স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, এ যে আমার গৌরবের ঐতিহ্য।

‘জারি গায়ে ভাটি বায়ে করতাল বাজায়, মদন মাঝি বড়ই পাজি কতো নাও ডুবায়/ ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায়‘- নৌকায় মাঝিমাল্লারা দৌড়ে আগে যেতে এসব গান গেয়ে শক্তি অর্জন করছে, হাত উচিঁয়ে পা নাচিয়ে এমন সৌন্দর্ষে মুগ্ধ হচ্ছেন হাজারো মানুষ।

ঐতিহ্যের এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে উপস্থিত হন নগর পিতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বিকেলে গোধুলী বেলার আগেই সাঙ্গ হয় এই নৌকা মহাউৎসবের। প্রাণভরে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে মানুষ ফেরে ঘরে।

ঐতিহ্যের এ ধারবাহিকতা রক্ষার ঘোষণা দেন মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ বাংলালিংকের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়:  ২০৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১২
এসএ/ জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।