ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

২ মিনিটে ১৯৫ দেশ-রাজধানীর নাম বলতে পারে শিশু জেবা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
২ মিনিটে ১৯৫ দেশ-রাজধানীর নাম বলতে পারে শিশু জেবা ক্লাসে জেবা মুতাহারা সামিহা।

নীলফামারী: অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। অসাধারণ প্রতিভা।

মাত্র এক মিনিটে ১৯৫ দেশ ও রাজধানীর নাম এবং ৪০ সেকেন্ডে বাংলাদেশের বিভাগ সব জেলার নাম বলতে পারে শিশু জেবা মুতাহারা সামিহা। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির জেবা মুতাহারা সামিহা (৯)।

এক মিনিটে পৃথিবীর ১৯৫ দেশের নাম ও রাজধানী এবং ৪০ সেকেন্ডে বাংলাদেশের আট বিভাগ ও ৬৪ জেলার সব নাম মুখস্ত বলতে পারে সামিহা। মাত্র ৪ থেকে ৫ দিনে মুখস্ত করে ১৯৫ দেশ ও রাজধানীর নাম এবং বাংলাদেশের বিভাগ ও সব জেলার নাম বলতে পারে জেবা।

জেবা মুতাহারা সামিহা শ্রেণি ক্যাপ্টেন, তার রোল নম্বর-৩। জানে নাচ, গান, কবিতা, আবৃতি এবং ফুটবল খেলতে পারে। দিন আনে দিন খায় দরিদ্র পরিবারের সামিহা ভবিষ্যতে সে একজন ডাক্তার হতে চায়। পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কালিকাপুর মুন্সিপাড়া গ্রামে বাড়ি হলেও ঋণের জালে পড়ে বসতভিটা বিক্রি করে এখন ভবানীপুরে ভাড়া বাসায় থাকেন। বাবা জাকারিয়া সরকার পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। ২০ বছর ধরে এ পেশায় জড়িয়ে আছেন।

মেয়ের এই মেধায় মুগ্ধ দেখে জেবার মা বলেন, আমার মেয়ে যা পারে তা আর কেউ পারে না। মেয়েটা অনেক কিছু জানে।

জানতে চাইলে জেবা বলে, ডিসেম্বর মাসে যখন বই পড়া বন্ধ। তখন আমার আমার চাচ্চু আমাকে ৪-৫ দিনে আমাকে মুখস্ত করার চেষ্টা করে। এ কথা বলে এক নিশ্বাসেই দেশের নামগুলো বলতো। জাকারিয়া সরকার-হোসনে আরা দম্পতির তিন সন্তান। তাদের ঘরে রয়েছে তিন কন্যা। বড় মেয়ে জারিন ইভা ভবানীপুর ডিগ্রি কলেজ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তৃতীয় মেয়ে জিন্নাত স্নেহা (৬) কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্ত্রী হোসনে আরা বলেন, টানাপোড়েনের সংসার কোনোভাবে চলে যায়। আমার স্বামী গৃহশিক্ষক। জেবা মেয়েটা আমার খুব ভালো ও মেধাবী। ও সারাক্ষণ অনেক কিছু জানার চেষ্টা করে স্কুলের সহপাঠী রুমাইসা তাবাসসুম বলে, জেবা প্রায় দেড় মিনিটে ১৯৫ দেশের নাম ও রাজধানীর নাম বলতে পারে।

বাবা জাকারিয়া সরকার বলেন, পড়াশোনাতেও তার খুব ঝোঁক। সে যা একবার শুনে তা সহজেই মনে রাখতে পারে। এ বয়সেই তার সবকিছুতেই জানার আগ্রহ প্রবল। জেবা ছোট থেকেই অত্যন্ত চঞ্চল স্বভাবের।

কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মো. লিয়াকত আলী বলেন, সে অত্যন্ত মেধাবী। সামিহা সুন্দর এবং সাবলীল কণ্ঠে এসব দেশের নাম ও বিভাগ জেলার নাম বলতে পারে। সবার আগে ক্লাসে আসে, সামিহা শ্রেণি ক্যাপ্টেন, তার রোল নম্বর-৩। মুখস্ত বলতে পারেন পৃথিবীর ১৯৫ দেশের নাম ও বাংলাদেশের ৮ বিভাগ ও ৬৪ জেলার সব নাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।