ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

‘পূজা আমাদের, ‌উৎসবটা সবার’

আশরাফুল ইসলাম ও জেসমিন পাঁপড়ি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০৬, অক্টোবর ১৯, ২০১২
‘পূজা আমাদের, ‌উৎসবটা সবার’

ঢাকা: শারদীয় দুর্গা পূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও উৎসবটা সব ধর্মাবলম্বীর। আবহমানকাল ধরে চলে আসা এই সংস্কৃতি সময়ের আবর্তে একটুও ম্লান হয়নি।



শনিবার থেকে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কয়েকটি পূজা মণ্ডপ ঘুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমনই অভিমত পাওয়া যায়।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিমা প্রকৃত ধর্মীয় চেতনাকে ধারণ করেই তৈরি করা হয় বলেও দাবি করেন তারা।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি বাসুদেব ধর বাংলানিউজের কাছে শারদীয় দূ্র্গোৎসব আয়োজনের নানাদিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, পূজাটা আমাদের হলেও উৎসবটা সবার। যুগ যুগ ধরে এদেশে চলে আসা এই ধর্মীয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নানা সংকটের মাঝেও ম্লান হয়নি।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজা অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, প্রকৃত ধর্মীয় রীতি নীতি ও ঐতিহ্য ধারণ করে পূজা অনুষ্ঠান হয় বলেই এখানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য মানুষের ভিড় হয়। এ মন্দিরে ভক্তদের অফুরান ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাতে সেটা ফুটে ওঠে। বিগত বছরগুলোর মত এবারও অনেক নারী তাদের গায়ের গহনা মা’কে(দূর্গা) পরিয়ে দিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
 
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী প্রতিমা নির্মাণের বিশেষত্ব তুলে ধরে বলেন, ‍‍আমাদের এখানে প্রতিমা নির্মাণ সাদামাটা হলেও অসাধারণ তার নান্দনিকতা।
 
তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিমা নির্মাণের উপকরণের মূল্য ও নির্মাণ ব্যয় অনেক বেড়েছে। যা গতবারের চেয়ে এবার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেশি। প্রতিমা নির্মাণ সময়ের ব্যাপার এবং দক্ষ কারিগর পাওয়াও সহজ নয়। একজন কারিগর একাধিক প্রতিমার কাজ নিয়ে থাকেন।

এদিকে রাজধানীর রমনা কালী মন্দির ও মা আনন্দমসয়ী আশ্রমেও ব্যাপক উৱসাহ-উদ্দীপনা ও আড়ম্বরের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসব।

এ মন্দিরের প্রবেশ পথেই একাধিক সুদৃশ্য আলোকসজ্জিত বিশালাকার তোরণ শোভা পাচ্ছে।

মন্দিরের নিত্য পূজার দায়িত্বে থাকা প্রাণ কৃষ্ণ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এ মন্দির প্রায় ৮শ’ বছরের পুরনো। ১৯৭১ সালের পর প্রায় আট বছর এখানে পূজা বন্ধ থাকলেও পরবর্তী সময় থেকে এখন পর‌যন্ত সব পূজাতে এখানে জনসমাগম হয়। আমাদের উৎসবগুলোতে সব সম্প্রদায়ের লোকেরই আগমন ঘটে।

মন্দিরের সাজসজ্জার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এখানকার সাজসজ্জা বাংলাদেশের যে কোন মন্দিরের চেয়ে আকর্ষণীয়। এবারের পূজায় মন্দিরের সাজসজ্জায় প্রবেশ পথের চারটি কারুকার‌যময় বিশালাকারের তোরণ নির্মান করা হয়েছে। এত ব্যয় হয়েছে আট লক্ষ টাকা।

এদিকে পূজা অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের পূজার আয়োজকরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১২
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।