ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

বিয়ে টেকানোর নোবেলবিজয়ী তত্ত্ব অর্থনীতিতে টিকবে কি?

আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৭, অক্টোবর ২৪, ২০১২
বিয়ে টেকানোর নোবেলবিজয়ী তত্ত্ব অর্থনীতিতে টিকবে কি?

অনেক বিয়ের (দাম্পত্য) সম্পর্ক থাকে বছরের পর, আবার অনেকগুলো ভেঙে যায়। কেন? কেন কিছু সম্পর্ক টেকসই আবার কিছু ঠুনকো? সংসার কখন ভাঙে? কখন দু্’জনই প্রসন্নভাবে সবকিছু মেনে নেয়? এরকম বিষয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা করেই অর্থনীতিতে ২০১২ সালের নোবেল পুরস্কার পেলেন আলভিন ই রোথ ও লয়েস এ শ্যাপলি।



বলা দরকার, আলফ্রেড নোবেল ১৮৯৯ সালে তার উইলে নোবেল পুরস্কারের জন্য অর্থনীতিশাস্ত্রের নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু ১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতি শাস্ত্রের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কথা চিন্তা করে সুইডিশ রিক্স ব্যংকের সৌজন্যে নোবেলেরই স্মরণে “অর্থনীতি বিজ্ঞানে সেরিস রিক্স ব্যাংক প্রাইজ” শীর্ষক পুরস্কারটি প্রবর্তিত হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৪৪ দফায় ৭১ জন অর্থনীতিবিদ এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে যে সবাই অর্থনীতিবিদ ছিলেন তা নয়, তিনজন গণিতবিদও অর্থনীতিতে গণিতের প্রয়োগ দেখিয়ে এই শাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন। এবারের পুরস্কারপ্রাপ্ত দুইজনের মধ্যেও একজন শ্যাপলি আধা গণিতবিদ, আধা অর্থনীতিবিদ। অবশ্য তাদের গবেষণা যেই তত্ত্বের ওপর “গেম থিওরি”, সেটির অন্যতম উদ্ভাবকও একজন যুক্তরাষ্ট্রীয় গণিতবিদ জন ফর্বস ন্যাশ যিনি ১৯৯৪ সালে অর্থশাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন যার জীবনের ওপর ২০০১ সালে আবার এক অসামান্য চলচ্চিত্র বানিয়েছেন  হলিউডের পরিচালক রন হাওয়ার্ড। এবারের বিজয়ীদের গবেষণার বিষয় এবং পদ্ধতি বিয়ের বাজার থেকে শুরু করে বাজার অর্থনীতিতে দুইপক্ষের সম্মিলন কতটা দক্ষ উপায়ে ঘটতে পারে তা বিশ্লেষণে সক্ষম বলে দাবিদার। অলভিন রোথ (৬০) যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে অবস্থিত হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অর্থনীতির অধ্যাপক। আর লয়েড শ্যাপলে হলেন (৮৯) ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তাদের তত্ত্বের অর্থনৈতিক প্রয়োগ দেখার আগে চলুন দেখে আসি স্থিতিশীল ম্যাচমেকিং বা বিয়ের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই তত্ত্ব কীভাবে কাজ করে।

বিয়ে কেন ভাঙে? এই প্রশ্নের উত্তরে অর্থনীতিবিদরা বলবেন, যদি নিজের সঙ্গীর চেয়ে অন্যের সঙ্গীকে বেশি ভাল লাগে (অথবা নিজের বউয়ের চেয়ে অন্যের বউকে) এবং যদি সেই বেশি পছন্দের মানুষটিকে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তা হলেই বিয়ে ভাঙবে। এবং এই সম্ভাবনা বা আশঙ্কাটি দূর করতে পারলেই বিয়ে টিকতে বাধ্য।

সেটা কীভাবে সম্ভব, দেখিয়েছিলেন গেইল আর শ্যাপলে। ধরা যাক, দশ জোড়া বিবাহযোগ্য পুরুষ এবং মহিলা আছেন, এর বেশিও নয় কমও নয়। এই বিশ জনকে একটা ঘরে বসানো হল। বলা হল, এক এক করে প্রত্যেক পুরুষ তার পছন্দের মহিলাটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন। মহিলা সম্মত হলে বলবেন, ‘আচ্ছা ভেবে দেখি’’; অসম্মত হলে সরাসরি বলবেন, ‘না’। যে পুরুষের পছন্দের মহিলা তাকে ‘আচ্ছা ভেবে দেখি’ বলবেন, সেই পুরুষটি ‘সাময়িকভাবে বাগদত্ত’, মহিলাও ‘সাময়িকভাবে বাগদত্তা’। প্রথম দফায় যে পুরুষদের ভাগ্য মন্দ, তারা দ্বিতীয় দফায় আবার বিবাহের প্রস্তাব দেবেন। মজার ব্যাপার হল, তারা শুধু প্রথম বার যিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাকে ছাড়া বাকি নয় জন মহিলার মধ্যে যাকে মন চায় তাকেই প্রস্তাব দিতে পারেন তিনি ‘সাময়িকভাবে বাগদত্তা’ কি না, ভাবার দরকার নেই। বাগদত্তা মহিলাও ইচ্ছা করলে প্রথম দফায় পছন্দ করা পুরুষটিকে বাতিল করে দ্বিতীয় প্রস্তাবকারীকে ‘আচ্ছা ভেবে দেখি’ বলতে পারেন। এই দফাতেও যে পুরুষদের ভাগ্য মন্দ, তাদের জন্য তৃতীয় দফা রয়েছে। তারাও নির্দ্বিধায় অন্যের বাগদত্তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারেন। এইভাবে চললে, দশ জোড়া পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে, সবচেয়ে বেশি দশ দফায় একে অপরের পছন্দসই জুটি তৈরি হবে।
বিবাহযোগ্য পাত্র-পাত্রীর সংখ্যা সমান থাকলেই এই জুটিগুলো টেকসই হবে। বিয়ে তো তখনই ভাঙবে, যদি জানা থাকে যে বিয়ে ভেঙে অধিক পছন্দের মানুষটিকে বিয়ে করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে, তার চেয়ে যাদের বেশি পছন্দ হয়, তারা ইতিমধ্যেই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। কাজেই, শুরু থেকেই জানা আছে যে তাদের পাওয়া যাবে না। যাদের পাওয়া যাবে, তারা বিয়ে করা স্বামী কিংবা বউয়ের তুলনায় কম পছন্দের। কাজেই, বিয়ে ভাঙার আর কোনো সম্ভাবনাই রইল না। বিয়ে টেকানোর এই কার্যকর ম্যাচ মেকিংকে বলা হয় “গেইল-শ্যাপলি ম্যাচিং তত্ত্ব” বা “Deferred Acceptance” বা “স্থগিত রেখে গ্রহণ” যেটি দ্বৈতভাবে ডেভিড গেইল এবং শ্যাপলি দিয়েছিলেন ১৯৬২ সালে। ডেভিড গেইল অবশ্য ২০০৮ সালে গত হয়েছেন।

এ তো গেল, বিয়ের বাজারের কথা। কিন্তু এই দিয়ে তো আর নোবেল মেলেনি। বিয়ের বাজারের এই উপস্থাপন একটা তত্ত্বীয় রূপরেখা মাত্র। ১৯৮৪ সালে অ্যালভিন রোথ যিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এই সূত্রকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছেন যার স্বীকৃতি হিসেবে দু’জনের ভাগ্যে মিলেছে এই পুরস্কার।

তবে এ তত্ত্বের প্রথম প্রয়োগটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য পাশ করা ডাক্তারদের বাজারে। যুক্তরাষ্ট্রে ডাক্তারি ছাত্রদের ইন্টার্নশিপ বা শিক্ষানবিশীদের কলেজ বাছাই নিয়ে অব্যবস্থাপনার সমস্যা ছিল দীর্ঘদিনের। কোন ছাত্র কোন হাসপাতালে শিক্ষানবিশী করতে যাবেন, তা স্থির করার জন্য ১৯৫২ সালে ‘ন্যাশনাল রেসিডেন্ট ম্যাচিং প্রোগ্রাম’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু এখানেও দেখা গেল বিয়ের ম্যাচ মেকিংয়ের মতো সমস্যা। হয়াতো ছাত্রের হাসপাতাল পছন্দ হয় না, আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেররও ছাত্র বাছাইয়ের পর অন্য হাসপাতালে চাকরি নিয়ে চলে যাওয়া ছাত্রকেই বেশি ভাল লাগতে থাকে। রোথই প্রথম দেখালেন যে এই কর্তৃপক্ষ অজান্তেই গেইল-শ্যাপলে এলগোরদিম অনুসরণ করে চলছে।

রোথ এই সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি একটি গবেষণাপত্রে প্রমাণ করেন, গেইল-শ্যাপলির মডেলের ওপর নির্ভরশীল এই ব্যবস্থাটি অবিবাহিত ছাত্রদের জন্য একদম ঠিকঠাক, কিন্তু ছাত্রের বিয়ে হয়ে গেলেই আর ব্যবস্থাটি কাজ করে না। ১৯৯৯ সালে তিনি মডেলটিকে নিজস্ব ধাঁচে নতুন রূপ দিলেন যাতে এই ব্যবস্থাটি বিবাহিত ছাত্রদেরও তাদের সম্ভাব্য বিকল্প হাসপাতালগুলির সেরাটিতে পৌঁছে দিতে পারে।

পরবর্তীতে নিউ ইয়র্ক এবং বস্টনের পাবলিক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থাটি কিভাবে কাজ করতে পারে তার ওপর এই একই মডেল নিয়ে রোথ কাজ করলেন। পাবলিক স্কুলগুলোতে যেহেতু একই সঙ্গে পরীক্ষা হয় এবং মেধার ভিত্তিতে নাগরিকদের তাদের সন্তানদের সর্বোত্তম স্কুলটিতে পড়ানোর অধিকার রয়েছে তাই সেখানে যদি ব্যবস্থাপনার কারণে কোনো শিক্ষার্থী তার প্রাপ্য অবস্থান থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে সে ব্যবস্থার প্রতি অসন্তোষ বাড়তে থাকে।

তাই স্কুলগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়ায় রোথে’র সমাধান তার সাফল্যের পাল্লাকে আরো ভারী করে। এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এটি এখন পর্যন্ত সর্বোত্তম বলে বিবেচিত হয়ে আসছে।

তবে, রোথে’র যে কাজটি মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে  তা হল, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বাছাই সংক্রান্ত গবেষণা। ধরা যাক, কিডনির অসুখে আক্রান্ত স্বামীকে কিডনি দিতে রাজি তার স্ত্রী, কিন্তু স্ত্রীর কিডনি স্বামীর শরীরে প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়। এদিকে, অঙ্গ কেনা-বেচা অনেক দেশের আইনেই নিষিদ্ধ। ফলে এই জাতীয় ক্ষেত্রে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না। রথ ও তার দুই সহযোগী তেফুন সোনমেজ ও উটকু আনভার এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছেন, যাতে এই রকম দু’জোড়া রোগী-অঙ্গদাতা থাকলেই তাদের মধ্যে কিডনি বিনিময় সম্ভব।

এখন আমরা যদি মুক্তবাজার ব্যবস্থায় এই পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে তার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব এইভাবে “স্টাবল ম্যাচিং” পদ্ধতি বাজারে চলতে থাকলে এটি একসময় ভারসাম্যাবস্থায় পৌঁছতে সক্ষম হবে। কারণ, এই পদ্ধতির ফলাফলেই বলা হচ্ছে একটি বাজারে এর চেয়ে ভালো অন্য কোন ম্যাচিং থাকবে না। থাকলে তো আর এইটা স্ট্যাবলই হল না। সদ্য পাশ করা ডাক্তারদের ম্যাচিং অভিজ্ঞতা থেকে যে নীতি পরামর্শ টানা হয়েছে তা হল, এটা শ্রমবাজারে মালিক শ্রমিকের মধ্যে একটা যুক্তিসংগত দরকষাকষির সুযোগ দেবে।

এখন বাস্তব প্রয়োগের দিকে যদি তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে শ্রমবাজারে সবসময়ই কাজ করতে ইচ্ছুকদের অর্থাৎ বেকারদের সংখ্যা নিয়োগকারীর তুলনায় বেশি থাকে। গেইল-শ্যাপলি অ্যালগরিদম অনুযায়ী কারখানার মালিক পক্ষ প্রথমত কর্মইচ্ছুকদের চাকরির প্রস্তাব দেয়। প্রত্যেক কর্মইচ্ছুক তার সবচেয়ে পছন্দের প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য রেখে বাকিগুলো প্রত্যাখ্যান করে। প্রত্যাখ্যাত মালিক আবার নতুন কর্মইচ্ছুকদের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। এভাবে যতক্ষণ পর্যন্ত মালিকদের কাছে প্রস্তাব দেওয়ার মত আর নতুন চাকরি থাকবে না ততক্ষণ পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি চলতে থাকবে। এতে করে শেষ সময়ে কর্মইচ্ছুক ব্যক্তি তার পছন্দের শীর্ষে থাকা মালিকের চাকরিটি গ্রহণ করবে এবং মালিকও যেহেতু তার হাতে আর কেউ থাকবে না তাই তাকে পেয়েই সন্তুষ্ট থাকবে। আরেকটু সহজ করে বললে, নতুন নতুন কর্মইচ্ছুক ব্যক্তির চাকরি প্রত্যাখ্যানের সাথে সাথে চাকুরিদাতার উচ্চাকাংখা ক্রমশ কমতে থাকবে এবং অন্যদিকে কর্মইচ্ছুক ব্যক্তির প্রত্যাশাটা বাড়তে থাকবে। এতে একটা সময়ে এসে দু’জনই তাদের সর্বোচ্চ উপযোগিতার জায়গায় এসে থেমে যাবে যেটাকে বলা হচ্ছে এই এলগোরিদমের ভারসাম্যাবস্থা। অর্থাৎ যে অবস্থায় এসে প্রক্রিয়াটি উভয় পক্ষকেই সন্তুষ্ট করে সমাপ্ত হবে।

তত্ত্বীয়ভাবে এই এলগোরিদমটি অনেক চমৎকার শোনালেও শ্রমবাজারে এটি কিভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কারণ এই এলগোরিদমের পূর্বশর্ত হল দুই পক্ষের খেলোয়াড়ের সংখ্যা সমান হতে হবে। বাস্তবে শ্রমবাজারে দুইপক্ষের খেলোয়াড় কখনই সমান নয়। এই প্রক্রিয়াটি হাসপাতাল মালিক ও ডাক্তারের ক্ষেত্রে সীমিতভাবে সম্ভব হওয়ার কারণ হল সেখানে চাহিদা-যোগান একটি কাছাকাছি অবস্থানে থাকে সবসময়ই। স্কুলগুলোতে এই তত্ত্ব কাজ করছে কারণ স্কুলগুলোর মোট আসনসংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যার কাছাকাছি। কিন্তু অর্থনীতি শাস্ত্রই যেখানে স্বীকার করে নিচ্ছে যে, অর্থনীতিতে সবসময়ই একটা সাধারণ জনগোষ্ঠী অনিয়োজিত থাকবে তাই শ্রমিক তার দর কষাকষির ক্ষমতা প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে এটা ভাবা আর সাপের কুণ্ডলীতে ময়ুরকে রেখে নাচতে বলা একই কথা।

লেখক: উন্নয়ন অর্থনীতি’র স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, নয়াদিল্লী
alauddin0112@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ২৪ অক্টোবর, ২০১২
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।