ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

চকলেট খেলেই নোবেল প্রাইজ!

অমিয় দত্ত ভৌমিক, ওয়েব এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৩২, অক্টোবর ৩১, ২০১২
চকলেট খেলেই নোবেল প্রাইজ!

ঢাকা: চকোলেট খাও, নোবেল বিজয়ী হও! এটা কোনো স্লোগান বা বিজ্ঞাপন নয়, নয় কোনো পাগলের প্রলাপ। গবেষণা করে এমন তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা।



সম্প্রতি ‘দি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে এমনই একটি সমীক্ষা, যে দেশের মানুষ যত বেশি চকোলেট খায়, সেই দেশ ততো বেশি নোবেল জেতে।

চকোলেট খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। ছোটরা তো বটেই, বড়রাও সুযোগ পেলে চকোলেট খেতে আপত্তি করেন না। চকোলেট যে হার্ট অ্যাটাকের বড় প্রতিষেধক, শরীরের ওজন কমায়, এসব এখন পুরানো খবর। নতুন খবর হচ্ছে চকোলেট খেলেই হয়ে যেতে পারেন নোবেল বিজয়ী!

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রাঞ্জ মেসারলির (Dr. Franz H. Messerli, M.D.) দাবি, চকোলেট খেলে বুদ্ধি বাড়ে। বাড়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা। এমনকি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের স্মৃতিভ্রমও আটকে দেয় চকলেট।

অর্থাৎ, চকোলেট খেলে বয়স যতই বাড়ুক না কেন, মস্তিষ্ক থাকবে সবসময় চিরতরুণ।

ডা. মেসারলি তার গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কোকো বীজ, সবুজ চা, লাল চা (red wine) ও কিছু ফলে ফ্লেভোনয়েডস (Flavonoids) এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। বার্ধক্যের স্মৃতি দুর্বলতা কমাতে এগুলি বিশেষ কাজে দেয়। চকোলেট তৈরি হয় কোকো বীজ থেকে। তাই চকোলেট খেলে স্মৃতি শক্তি বাড়ে। আর এ ফল শুধু ব্যক্তি নয়, দেশের মানুষের ওপরও পড়ে বলে তিনি জানান।

এ জার্নালে মেসারলি বলেন, “তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন, যে দেশ যত বেশি চকোলেট খেয়েছে, সেই দেশ ততবেশি নোবেল প্রাইজ পেয়েছে। যারা কমপক্ষে ২২টি দেশে চকোলেট বিক্রি করে এমন একাধিক চকোলেট প্রস্তুতকারক কোম্পানি থেকে তিনি তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। সেখান থেকে তার কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে, জনসংখ্যা হিসাবে যে দেশে বেশি চকোলেট বিক্রি হয়, সেই দেশ তত বেশি নোবেল পুরষ্কার পেয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, জনসংখ্যার অনুপাতে সুইজারল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি চকোলেট বিক্রি হয়। আর সবচেয়ে বেশি নোবেল পাওয়ার কৃতিত্বও রয়েছে এ দেশেরই।

চকোলেট খাওয়া ও নোবেল পাওয়ার ভিত্তিতে মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং জার্মানি। শেষের দিকে রয়েছে চীন, জাপান ও ব্রাজিল।
choco
চকোলেট খাওয়ার ভিত্তিতে বিচার করলে সুইডেনে এ পর্যন্ত ১৪টি নোবেল পাওয়ার কথা ছিল। ইতোমধ্যে তারা ৩২টি নোবেল পুরষ্কার পেয়েছে। এর যুক্তি হিসেবে ওই অধ্যাপক জানান, নোবেল প্যানেলটি মূলত সুইডেন নির্ভর। হতে পারে নিজের দেশের প্রতি তারা সংবেদনশীল। এটিকে তিনি ‘পেট্রিয়টিক বায়াস’ বলে মন্তব্য করেন।

তিনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, “এই নয় যে, চকোলেট মানুষকে স্মার্ট করে। কিন্তু যারা স্মার্ট হতে এবং নোবেল জিততে চান, তারা চকোলেটের উপকারিতা জানেন। এ জন্যই তাদের অধিকাংশই চকোলেট খেতে পছন্দ করেন। ”

এ বিষয়ে নোবেল কেমিষ্ট্রি প্রাইজ কমিটির চেয়ারম্যান ভেন লাইডেনের সহাস্য মন্তব্য, ‘আমি মনে করি না চকোলেটে সঙ্গে নোবেলের সরাসরি কোনও যোগাযোগ রয়েছে। ’

চকোলেটের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এ অধ্যাপক আরও জানান, এক জন ব্যক্তির প্রতি বছর ০.৪ কেজি চকোলেট প্রয়োজন।

নিয়মকরে প্রতিদিন তিনিও চকোলেট খাচ্ছেন বলে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১২
এডিবি/সম্পাদনা: শামীম হোসেন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।