ঢাকা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা হুগলি। এ হুগলি শহরটি হুগলি নদীর পাশেই অবস্থিত।
১৯৭৩-৭৪ সালের কথা, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মোহসীন হলে থাকি। ওই সময় থেকেই ইচ্ছে জাগলো হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের সেই হুগলি দেখবো। ১৯৭৪ সালের শেষ দিকে ভারত ভ্রমণে বের হলাম।
কলকাতা হয়ে বাস ধরে চুঁচুড়া শহরে গেলাম। সেখান থেকে পুরনো হুগলি শহর দেখা। সেই স্মৃতি কী ভোলার। ওখানে ইমামবাড়ায় পরিচয় হয়েছিল কয়েকজন মুসলিমের সঙ্গে। ‘মোহসীনের হুগলি দেখবো বলে আরেক দেশ থেকে এসেছি শুনে তারাতো অবাক।
তাদেরই একজন বললেন, ‘ইংরেজদের মাথায় ছিল দুষ্টু বুদ্ধি তাই বাংলাকে তারা দ্বিখন্ডিত করেছিল। হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ওই ইংরেজরাই গোলমাল জিইয়ে রাখতো। হুগলিতো বাংলাতেই ছিল। বাংলা ভাগাভাগির কারণে আপনারা হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের ইমামবাড়া, তার কীর্তি হারালেন। হারালেন ফুরফুরা শরীফ। ’
কথাগুলো শুনে ওই মুসলিমদের দিকে তাকিয়ে রইলাম। সাহস তো পেলাম না কিছুই বলার।
হুগলি বড়ই সুন্দর জায়গা। এই জেলায় ভ্রমণ করে বিভিন্ন বয়সের লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। সবার কাছ থেকেই পেয়েছি আতিথেয়তা। ইমামবাড়ায় থাকেন এমন একজন নাম আবু বকর, তিনি তার বাড়ি কাসওয়ারায় বেড়াতে নিয়ে গেলেন।
একটানা ৪ দিন থেকেছিলাম তা বাড়িতে। তার যত্ন আতিথেয়তার কথা ভোলার নয়। মাছ, মাংস, ডিম, নানা ধরনের ফল, পিঠা কত কি খাওয়ালেন। মনে হয় সেই স্বাদ যেন এখনও মুখে লেগে আছে।
সেই হুগলি জেলার সদর দপ্তর বসেছে এখন চুঁচুড়ায়। হুগলির মহকুমা ৪টি- চুঁচুড়া সদর, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, আরামবাগ। এখানের নদ-নদী দামোদর, দ্বারকেশ্বর, হুগলি আর মুডেশ্বরী। কল্যাণী থেকে বিরলাপুর ও ত্রিবেণি থেকে উলুবেড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ১,৩০০ বর্গ কি.মি. জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে হুগলি শিল্পাঞ্চল।
ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পর্তুগিজরা ভাগীরথী নদীর তীরে হুগলি বন্দর গড়ে তোলে। ১৭৯৫ সালে ইংরেজরা হুগলি জেলা হয়। ১৮১৬ সাল থেকে এই জেলার চন্দননগর ফরাসিদের অধিকারে। ১৯৫০ সালের ২ মে চন্দননগর ভারতের অধিকার আসে এবং ১৯৫৪ সালে এই স্থান পশ্চিম বাংলার অন্তর্গত হয়।
হুগলি উত্তরে বর্ধমান জেলা, পূর্বে হুগলি নদী ও উত্তরে ইত্তর ২৪ পরগনা জেলা, দক্ষিণে হাওড়া জেলা, পশ্চিমে বাকুড়া ও পশ্চিমে মেদিনীপুর জেলা। হুগলির আয়তন ৩,১৪৯ বর্গ কিমি। লোক সংখ্যা ২০১১ সালের হিসাব মতে ৫৫ লাখ ২০ হাজার ৩৮৯ জন।
হুগলির প্রধান শিল্প, বস্ত্র, মোটর গাড়ি ও টায়ার তৈরি, রাসায়নিক, কাগজ কল, টিসু কাগজ তৈরি তার বিদ্যুৎ কেন্দ্র (ব্যান্ডেল), মুরগির হ্যাচারি (আরামবাগ)। কুটির শিল্প তাঁতের শাড়ি (ধনেখালি), ধূতি (ফরাসডাঙা বা চন্দননগর), জরির কাজ (জালিপাড়া), চিকনের কাজ।
হুগলির দর্শনীয় বিভিন্ন বস্তু ও স্থান : রাধাবল্লভের মন্দির (শ্রীরামপুর), হুগলি ইমামবাড়া, মাহেশের রথযাত্রা উৎসব, চন্দননগরের বিভিন্ন মন্দির ও জগদ্বাত্রী পুজো, চুঁচুড়ায় আর্মেনিয়ান গির্জা, যজ্ঞেশ্বর জিউ মন্দির, ব্যান্ডেলের চার্চ ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাঁশবেড়িয়ার বাসুদেব মন্দির ও হংসেশ্বরী মন্দির।
এছাড়া আছে- গুপ্তি পাড়ার রামচন্দ্র মন্দির, আটপুরের রাধা গোবিন্দের মন্দির, রামকৃষ্ণ প্রেমানন্দ আশ্রম, তারকেশ্বরে কারকনাথের মন্দির, রাজবলহাটের রাধামাধব মন্দির আর শ্রীরাম কৃষ্ণদেবের জন্মস্থান কামার পুকুর।
হুগলির আরামবাগ মহকুমায় রাধানগর হল রাজা রাম মোহন রায়ের জন্মস্থান। হুগলির দেবানন্দপুর বিখ্যাত কথাশিল্পী সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান। জিরাট হলো স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাসস্থান।
গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন ব্যান্ডেল, শেওড়াতুলি, শ্রীরামপুর। থানা আরামবাগ, কামারপুকুর, চন্দননগর, চন্ডিতলা, ভদ্রেশ্বর, ধনিয়াখালি, হরিপাল, চুঁচুড়া, ডানকুনি, জঙ্গিপাড়া, বলাগড়, খানাকুল, পান্ডুয়া, মগরা, সিঙ্গুর, রিষড়া, তারকেশ্বর, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর।
হুগলিতে ট্যুরিস্ট লজও আছে যেমন- তারকেশ্বর ট্যুরিস্ট লজ, কামারপুকুর লজ, গঙ্গাধর লজ, রামকৃষ্ণ মঠ গেস্ট হাউস।
১৯৭৪ সালে হুগলিতে যাওয়ার ২০ বছর পরে ১৯৯৪ সালে আরেকবার হুগলিতে গিয়ে ব্যাকুল হলাম ফুরফুরা শরীফ দেখার জন্য। হুগলি জেলার শিয়াখালার ৫ কিমি দূরে মুসলিম তীর্থ ফুরাফুরা শরীফে যেতেই একজন ঈমানদার লোক এসে জানালেন, অতীতের অনেক আলেম মৌলানা, ফকির দরবেশ ও সূফি সাধকদের লীলাভূমি এই জায়গা।
খ্রিস্টীয় ১৩ শতকে বাগদাদ ছেড়ে সূফি সাধক মৌলানা মনসুর বাগদাদী অনুচরসহ এখানে আসেন আল্লাহর সাধনা ও ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে। মৌলানা মনসুর ছিলেন প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দিকের বংশধর। তবে ফুরফুরার বর্তমান খ্যাতি ও আকর্ষণ ১৯ শতকের পীর হজরত মৌলানা আবু বকর সিদ্দিকীর জীবন ও কর্মকান্ড ঘিরে। তার প্রবর্তিত ইসাল-সাওয়াব অর্থাৎ পুণ্যার্জনের উৎসব প্রসিদ্ধ। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের ২১ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়। তখন আসবেন তো?
বললাম, অবশ্যই আসবো। ওখানে গিয়ে আরও জানলাম, এখানে মাজার জিয়ারতে নারীরা অংশ নিতে পারে না। উৎসবে আহার্য ও যাত্রী সেবার ব্যবস্থা হয় বিনামূল্যে। দেখা ও শ্রদ্ধা জানাবার জন্য আছে রওজা শরীফ, চার শহীদের মাজার, দরবার শরীফ এবং অনেক পীরের মাজার।
আমার এ ভ্রমণের কথা শুনে অনেকে হয়তো হুগলির ফুরফুরা শরীফে যাওয়ার জন্য আগ্রহী হবেন। তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি- উৎসবের সময় কলকাতার ধর্মতলা থেকে সরাসরি বাস আসছে ও যাচ্ছে ফুরফুরায়। আবার হাওড়া থেকে ট্রেনে উত্তরপাড়া বা শ্রীরামপুর স্টেশনে গিয়ে ধরা যায় ফুরফুরার বাস।
এছাড়া হাওড়া স্টেশনের পাশ থেকে বাস চলাচল করে শিয়াখালার। শিয়ালখালা থেকে ৫ কিমি দূরে ফুরফুরা শরীফ। আর সারাবছর কলকাতার দক্ষিণেশ্বর থেকে বাস যাচ্ছে ফুরফুরায়।
হুগলির এক হোটেলে শুয়ে আছি। জাহাঙ্গীর নামে এক মাদ্রাসার ছাত্র ভুল করে আমার রুমে এসেছিল। সেই সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয়ও হয়। তার কাছেই জানলাম, ‘শ্রীরামপুর’ নামটি। কলকাতা থেকে ২৪ কিমি দূরে ভাগীরথীর তীরে কলোনি গড়ে উঠেছিল শ্রীরামপুরে। ১৭৯৩ থেকে ১৮৩৪ পর্যন্ত তাদের কীর্তিকলাপের নিদর্শন ওখানে রয়ে গেছে। দেখে আসতে পারেন। বাংলা হরফের জন্মও ওই শ্রীরামপুরে ড. উইলিয়াম কেরির উদ্যোগে পঞ্চানন কর্মকারের ছেনিতে।
পটে আঁকা ছবি কেরি সাহেবের গড়া ভারতের প্রথম বোটানিক্যাল গার্ডেনে কালে কালে কলেজ-বাড়িটিও রূপ পায় মিশনারিদের হাতে। প্রথম বাংলা সংবাদপত্র ‘সমাচার দর্পণ’, প্রথম বাংলা গ্রন্থ ‘রাজা প্রতাপদিত্য চরিত্রে’র প্রকাশও শ্রীরামপুরে। একটি তোরণ আছে, সেটিও দেখার মতো।
দিনেমারদের গড়া চার্চের সামনে ত্রিকোণ পার্কে তাদের ব্যবহৃত ১২টি কামানও দেখতে পাবেন ...।
পরদিন গেলাম শ্রীরামপুরে। এখানে রেলস্টেশনের কাছেই গলিপথে ঢুকে প্রথমে দেখে নিলাম উইলিয়াম কেরির সমাধি। এখানের মাহেশের রথ দেখতে গিয়ে জানলাম, প্রায় ৬২০ বছরের প্রাচীন এই রথযাত্রা। এছাড়া লোহা দিয়ে নির্মিত আরেকটি রথ দেখলাম, এটি ব্যবহার করতেন হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু।
আরও শুনলাম, শ্রী চৈতন্যও এসেছেন রথ টেনেছেন মাহেশের। বৈষ্ণব তীর্থও বলা হয় এই শ্রীরামপুরকে। একে একে দেখে নিলাম- শ্রী গৌরাঙ্গ জিউর মন্দির, রঙ্গকালী মন্দির, শিব মন্দির, শীতলা মন্দির।
এবার শ্রীরামপুর থেকে এলাম চন্দননগরে। অতীতে ফরাসিদের কলোনি ছিল এই চন্দননগর। আওরঙ্গজেবের সনদ বলে ১৬৮৮ সালে মঁসিয়ে দেলান্দ খলমানি, বোড়ো ও গোলন্দপাড়া তিন গ্রাম কিনে গঙ্গার তীরে চন্দননগরের ভিত গড়েন।
দুর্গও গড়ে গঙ্গাতীরে আলিয়া দুর্গ ফরাসিরা। আর উত্তর-কালে ফরাসি গভর্নর দ্যুপের কর্মকৌশলতায় চন্দননগরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। চন্দননগরের পাশ থেকে যে নদী বয়ে গেছে তাকে কেউ বলে ‘গঙ্গা’ আবার কেউবা বলে ‘হুগলি নদী’। এই নদীর তীর ঘেঁষে বহুদূর পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছিলাম। এখনও মনে পড়ে, কী মনোরম শোভা! ‘কী আঁচল বিছায়েছে নদীর কূলে কূলে ...। ’
হুগলি নদীর তীরে বসে আছি পড়ন্ত বিকেলে। ওখানে পরিচয় হলো দীপালী নামে একজনার সঙ্গে। উনি এসেছেন কলকাতা থেকে। চাকরি করেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। কথা প্রসঙ্গে তার মুখে শুনলাম, ওই যে দেখছেন একটি বাড়ি, একে বলা হয় ‘পাতাল বাড়ি’।
ওই বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেকবার এসেছিলেন। বড়ই স্মৃতিবিজড়িত ওই পাতাল বাড়ি। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওখানে অবস্থান করে সঞ্চয়িতার নানান কবিতা লিখেছিলেন।
চন্দননগরের আরেক আকর্ষণ তার জগদ্ধাত্রী পুজো। চালচ্চিত্র নিয়ে ২০ থেকে ৩০ ফুট উঁচু বিরাটাকার দেবী জগদ্ধাত্রীর মূর্তি হয় মন্ডপে মন্ডপে, সোলার সহজ সজ্জিতা দেবী। তখন আলোর মালা পরে সারা চন্দনগর। নবমী ও দশমীর রাতে গাড়ির চল নেই চন্দননগরে। দুর্গা পুজোর এক মাস পরে হয় জগদ্ধাত্রী পুজো।
কথাগুলো শুনে বিদায় নিয়ে কয়েক কদম পা বাড়াতেই শুনি ‘এই যে মিস্টার, বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তা চন্দননগরের জলভরা মিষ্টি ও ভাপানো সন্দেশের স্বাদ নিয়ে যাবেন কিন্তু। ’
সন্ধ্যার পরে এলাম মিষ্টির দোকানে। ভাপানো সন্দেশ খেয়ে ভাবলাম, এক কেজি সন্দেশ যদি দেশে নিয়ে যেতে পারতাম।
চন্দননগরে একরাত থেকেছিলাম মিউনিসিপ্যাল গেস্ট হাউজে। পরদিন ফিরে এলাম হুগলির ব্যান্ডেলে। ব্যান্ডেলে এসে শুনলাম, চড়ুই ভাতিরও মনোরম পরিবেশ এই ব্যান্ডেল। ১৫৩৭ সালে পর্তুগিজরা ফ্যাক্টরির সঙ্গে কলোনি গড়ে।
তাদেরই গড়া চার্চ ও মনাস্ট্রি ট্যুরিস্টদের অন্যতম আকর্ষণ। দীর্ঘ অবরোধের পর ১৬৩২ সালে পর্তুগিজদের হারিয়ে দেয় মোগল সম্রাট শাহ্জাহান। তবে ফিরেও আসে পর্তুগিজরা পরের বছর আবার।
আর সম্রাট শাহ্জাহানের হাতে ধ্বংস হলেও নতুন করে গড়ে ওঠে ১৬৪০ সালে ‘চার্চ’। বাংলার মাটিতে সুন্দর কারুকার্যমন্ডিত এটিই প্রাচীনতম চার্চ। চার্চটি দেখে এলাম হুগলির দিকে। দু’পাশের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে এলাম হুগলিতে। রিকশাওয়ালা বললো, কলকাতারও আগে হুগলির প্রসিদ্ধি ছিল বাণিজ্য কেন্দ্র রূপে।
তারও আগে থেকে হুগলির ১০ কিমি উত্তরে সপ্তগ্রাম ছিল বাংলার মুখ্য বন্দর। আর ব্রিটিশ অর্থাৎ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আসে হুগলির নদী তটে- কারখানাও গড়ে ১৬৫১ সালে গৌরী সেনের দেশে।
তবে অতীতের বন্দরনগরী ও ব্রিটিশের প্রথম উপনিবেশ তথা হুগলির অতীত গৌরব বিলীন হলেও চার্চ থেকে ২ কিমি দূরে ১৮৬১ সালে পৌনে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে দানবীর হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের তৈরি মুসলিম তীর্থ ‘ইমামবাড়া’ আজও অনবদ্য। এর সূর্য ঘড়ি ও টাওয়ার দুইই দেখার মতো।
ইমামবাড়া দেখা শেষ করে ১ কিমি দক্ষিণে চুঁচুড়ায় এসে দেখে নিলাম- ডাচ কলোনি, অষ্টকোণী ডাচ চার্চ, ডাচ সিমেট্রি ও বসতবাড়ি।
সন্ধ্যার একটু আগেই এসে দাঁড়ালাম হাজী মোহাম্মদ মোহসীন কলেজের সামনে। তখন শুধুই যে তাকিয়ে থাকা। এক কলেজছাত্র পিঠে হাত রেখে বললো, ‘আপনার কী খারাপ লাগছে?’
একটু হেসে বললাম- মোহসীন কলেজ দেখে মনে পড়ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহসীন হলের কথা। কথাটি শুনে কলেজে পড়ুয়া ছাত্রটি আমার দিকে তাকিয়ে বললো, হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের স্মৃতি বিজড়িত হুগলিতে আবার আসবেন। অবশ্যই আসবেন। হুগলির উৎকর্ষ তো হয়েছিল হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের হাতেই ...।
আমিও বলি একবার ঘুরেই আসুন ........।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১২
লিয়াকত/ সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর, Kumar.sarkerbd@gmail.com