ঢাকা: সম্প্রতি টি.রেক্সের চেয়েও বড় আকারের একটি ডায়নোসর প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, চল্লিশ ফুট লম্বা এই ডায়নোসরটি প্রায় ৯৫ মিলিয়ন বছর আগে উত্তর আমেরিকায় বাস করতো।
এ ডাইনোসরটি যথেষ্ট আক্রমণাত্বক ও ভয়ানক ছিল। পিটার জ্যাকসনের ‘লর্ড অব দ্য রিং’ সিনেমার ‘আই অব সরন’ অনুসারে নতুন এ প্রজাতির ডাইনোসটির নাম দেয়া হয়েছে ‘সরন’।
২০০৭ সালে মরক্কোর দক্ষিণ অঞ্চল থেকে এর কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। কঙ্কালটির চোখের কোটরসহ কেবলমাত্র উপরের অংশ পাওয়া গেছে বলে ই-মেইলের মাধ্যমে জানান ইতালিয় বংশদ্ভুত গবেষকদের দলনেতা আঁন্দ্রে কো।
তিনি বলেন, “ডায়নোসরে জ্বলন্ত চোখ থেকেই এ ‘সরন’ নামের ধারণা আমার মাথায় আসে। ”
“টি.রেক্সের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন প্রজাতির প্রাণীরা সাধারণত ৪০ ফুটের বেশি লম্বা হয়। প্রাপ্ত খুলির প্রশস্ত এবং পাতলা হাড় নির্দেশ করে এই প্রাণী টাইরানোসরস রেক্সের (টি.রেক্স) মতো বড় ছিল। তবে তা কত বড় বাকি হাড় গুলো না পাওয়া পর্যন্ত এর প্রকৃত আকার বলা যাচ্ছে না। ”
সম্প্রতি এ্যাকটা পালাওনটোলজিকা পোলোনিকাতে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, গবেষণা অনুযায়ী ডায়নোসরের কপালের উচু-নিচু আকৃতি একে অন্যান্য ডায়নোসর থেকে আলাদা করেছে। এই উচু-নিচু আকৃতির কপাল তারা আঘাত করতেও ব্যবহার করতো। অন্যান্য প্রজাতির মতো সরনও ছিল দু’পা বিশিষ্ট মাংসাসী প্রাণী। এর প্রশস্ত মাথা এবং প্রায় এক ডজন ক্ষুরধার দাঁত ছিল।
তিনি বলেন, “সরন ডায়নোসর ছিল অন্যান্য সকল ডায়নোসরের মধ্যে বৃহদাকার। ১০০ মিলিয়ন বছর আগে আফ্রিকার এবং মরক্কোর এই ডায়নোসর ছিল সমান হিংস্র। কোন এক সময় একই চারণ ভূমিতে বাস করলেও তারা হয়তো কখনও মারামারিতে লিপ্ত হয় নি। ”
তিনি আরো বলেন, “সরন বাস করতো বড় দ্বীপের পাশে, গরম এবং উষ্ণ আবহাওয়ায়। যেখানে প্রচুর মাছ এবং কুমির বাস করতো। ধারণা করা হয় খাদ্যের অভাবই ছিল এই প্রজাতির ডায়নোসর বিলুপ্তির প্রধান কারন। ”
বাংলাদেশ সময়: ০৫২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১২।
এটি/ সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর